স্টাফ রিপোটার, সিলেট অফিস ॥ সিলেটের গোয়াইনঘাটে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বখাটের হামলায় গুরুতর আহত গৃহবধূ সাকেরা বেগম মারা গেছেন। সোমবার ভোর ৪টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রবিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার লামা সাতাইন গ্রামে সাকেরা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে এক বখাটে। গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাকেরা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আইয়ুব আলীর স্ত্রী।
মাদ্রাসা শিক্ষকের স্ত্রীকে আহত করার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা বিকেলে সারী- গোয়াইনঘাট সড়কের লাফনাউট এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নয়মুল হাসান, ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় গৃহবধূর ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্ররা।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছরদুয়েক আগে গোয়াইনঘাটের আলীরগাঁও ইউনিয়নের লামাসাতাইন গ্রামের মাওলানা আব্দুল মালিকের মেয়ে সাকেরা বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় প্রতিবেশী জালাল উদ্দিনের পুত্র কামাল উদ্দিন। সাকেরার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করা হয়। এরপর বিদেশে পাড়ি জমায় কামাল। পরে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আইয়ুব আলীর কাছে সাকেরাকে বিয়ে দেয় তার পরিবার। এরই মধ্যে সাকেরা একটি পুত্র সন্তানের জননীও হন।
দুই বছর পর সম্প্রতি দেশে ফিরে কামাল জানতে পারে সাকেরার অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। এ সংবাদে সাকেরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় কামাল। গত কয়েকদিন আগে সাকেরা বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রবিবার দুপুরে পুকুরে গোসল করতে গেলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা কামাল সাকেরাকে এলোপাতাড়ি দা দিয়ে কোপাতে থাকে। সাকেরার আর্তচিৎকারে তার বাড়ির ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বখাটে কামাল পালিয়ে যায়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা বখাটে কামালের চাচা হেলালকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: