ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামিকে ১৩ এপ্রিল কোর্টে তলব

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৭ মার্চ ২০১৫

খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামিকে ১৩ এপ্রিল কোর্টে তলব

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামিকে তলব করেছে আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২’র বিচারক হোসনে আরা বেগম সোমবার এই আদেশ দেন। বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতির মামলার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কবির হোসাইন সাংবাদিকদের পরে বলেন, বিচারক ১৩ এপ্রিল আসামিদের আদালতে হাজির হতে বলেছেন। খালেদা জিয়া নিজে এসে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারবেন। খালেদার অন্যতম আইনজীবী এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন মেজবাহ জানান, এ মামলা বাতিলে খালেদা জিয়ার একটি আবেদন হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ সোমবার বিচারিক আদালতে দাখিলের দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার ওই আবেদনে হাইকোর্টের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে রবিবারই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তার আইনজীবীদের সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায়ের জন্য আগামী ৫ এপ্রিল নতুন দিন ঠিক করে দিয়েছে। জরুরী অবস্থার সময় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোঃ সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে। এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনী হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে সময়ে সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
×