স্টাফ রিপোর্টার॥মানসিক ভারসাম্যহীন ভাসুরকে খুঁজতে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন অষ্টাদশী এক গৃহবধূ। অথচ তাকেই পাড়ার বখাটের কবলে পড়ে সম্ভ্রম হারিয়ে ফিরতে হয়েছে। পুলিশের খাতায় সেটা উল্লেখ করা হয়েছে গণধর্ষণ হিসেবে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী কদমতলী থানার শ্যামপুরে। দিনেদুপুরে এমন কাণ্ডে হতবাক এলাকার বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন ভাসুরকে খুঁজতে বের হলে ওয়াসাগেট যাওয়ার পর বখাটেরা তার পিছু নেয়। তাদের একজন হঠাৎ গৃহবধূর মুখ চেপে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় মাঠে। সেখানেই চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।
সম্ভ্রম হারানো গৃহবধূর স্বামী সাংবাদিকদের জানান, তারা পশ্চিম জুরাইন মুন্সীবাড়ি এলাকায় থাকেন। শনিবার সকাল দশটার দিকে তার মানসিক ভারসাম্যহীন বড় ভাইকে খুঁজতে শ্যামপুর ওয়াসাগেট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছান তার স্ত্রী। এ সময় স্থানীয় বখাটে সোহেল, খোকনসহ ছয়জন তাকে ওয়াসার বাউন্ডারির ভেতর নিয়ে যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন অনেকেই সে দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলেও তাকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি। অনতিদূরে ছিল টহল পুিলশও। তাদের কাছ থেকেও মেলেনি কোন সাড়া। এ সুযোগেই চল্লিশ মিনিট ধরে গৃহবধূর ওপর চলে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন। সঙ্গত কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ অবস্থায় দুপুরের দিকে অসহায় গৃহবধূ বাসায় ফিরে হয়ে পড়ে শয্যাশায়ী স্বামীকে লোকলজ্জার ভয়ে সেটা বলেননি । কিন্তু রাত নয়টার দিকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সব খুলে বলতে বাধ্য হন তিনি। ঘটনার বিবরণ শুনে রাতেই স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী ছোটেন কদমতলী থানায়। রবিবার দুপুরে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোগীর অবস্থা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল।