ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ সদস্যসহ আটক তিন

সিলেটে অপহৃত স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১৬ মার্চ ২০১৫

সিলেটে অপহৃত স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেটে এক স্কুল ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের তিনদিন পর শনিবার রাত ১১টায় নগরীর ঝেরঝেরিপাড়ার সবুজ ৩৭নং বাসা থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পথে সিলেট নগরীর দর্জিবন্ধ বসুন্ধরা এলাকার ৭৪নং বাসার বাসিন্দা মতিন মিয়ার ছেলে রায়নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সাঈদের বাবা ও মামার কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অন্যথায় সাঈদকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। এরপর সাঈদের বাবা ও মামা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে জিডি করেন। সাঈদের মামা জয়নাল আবেদিন জানান, অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ দাবি করলে এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই বলে তারা অপহরণকারীদের জানান। পরে তারা ২ লাখ টাকা দিতে বলে। টাকা নিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার শরীফে যেতে বলা হয়। তারা টাকা নিয়ে সেখানে গেলে ফোন করে সিলেট বিমানবন্দর সংলগ্ন বাইশটিলা এলাকায় যেতে বলা হয়। সেখানে যাওয়ার পর তারা ফোন করে বলে, ঘটনাটি কেন পুলিশকে জানান হয়েছে। অপহরণকারীরা সাঈদকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেয়। তদন্তকারী কর্মকতা যে মোবাইল ফোন দিয়ে সাঈদের বাবা ও মামার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, সেই মোবাইল ট্র্যাক করে এটি মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল এবাদুলের ফোন বলে জানতে পারেন। শনিবার তাকে কোতোয়ালি থানায় ডেকে আনা হয়। সেখানে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদকালে সে প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং সাঈদকে হত্যার কথা জানায়। এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার রাত ১১টায় নগরীর ঝেরঝেরি পাড়ার সবুজ ৩৭নং বাসা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরীর কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে র‌্যাবের সোর্স গেদা মিয়াকে এবং বন্দরবাজার থেকে জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিবকে আটক করা হয়।
×