ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ে ধস

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৫ মার্চ ২০১৫

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ে ধস

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ বড় ধরনের ধস নেমেছে রাজস্ব আদায়ে। ফলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। হরতাল আর অবরোধের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর সোনামসজিদে এ সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৩ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কম হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫ কোটি ১২ লাখ ৬২ হাজার টাকা। কিন্তু রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সহকারী কাস্টমস কমিশনার নূরুল বাশির জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে শুধুমাত্র পেঁয়াজ, চাল, গম, ভুট্টা, পাথর, ভূষি ও ছাই বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসব পণ্যের রাজস্ব খুবই কম। একমাত্র ফলমূল আমদানিতে বড় ধরনের রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। বিগত দিনে সোনামসজিদ বন্দর হয়ে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল আমদানির ফলে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে যেত। কিন্তু হরতাল অবরোধের কারণে অধিকাংশ ফল আমদানিকারক এই বন্দর ছেড়ে দিয়েছে। তারা সোনামসজিদ দিয়ে আঙ্গুর, আপেল, বেদানা, আম ও টমেটো আমদানি করে থাকত। একদিকে অবরোধ হরতাল, পাশাপাশি বন্দরের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছাড়াও নানান জটিলতার কারণে সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি কমে যায়। বিশেষ করে জানুয়ারির পাঁচ তারিখে অবরোধ হরতাল শুরু হলে সোনামসজিদ বন্দরে আমদানি রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৯ জানুয়ারি বন্দর আবার চালু হলেও ফল ও টমেটোসহ যে সমস্ত পণ্য থেকে রাজস্ব আয় বেশি সেগুলো আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জানুয়ারি মাসের লক্ষ্যমাত্রা ২১ কোটি ১৬ লাখ হলেও ১৯ তারিখ পর্যন্ত অর্জন হয় ১৭ কোটি ৩৩ লাখ। তার পরে আর রাজস্ব বাড়েনি। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতি ছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারির রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ধস নেমে যায়। অথচ ফেব্রুয়ারিতে ৭ হাজার ৩শ পণ্য ভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই তথ্য বন্দরের। পানামাতে আনলোড করে তা আবার ভারতে ফিরে যায়। এসব পণ্যের মধ্যে ফল ছিল না। ফলে রাজস্ব বাড়েনি।
×