ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পতনেও বহুজাতিক কোম্পানি চাঙ্গা

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৫ মার্চ ২০১৫

পতনেও বহুজাতিক কোম্পানি চাঙ্গা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত থাকলেও চাঙ্গা রয়েছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। গত বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। আর টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে এসেছে এ খাতের ৩ কোম্পানি। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে ১২টি বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে। আর লেনদেন বন্ধ ছিল ২ কোম্পানির। বুধবার ম্যারিকো বাংলাদেশ টপটেন গেইনার তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয় এক হাজার ২৪৯ টাকায়। কোম্পানির ১৫ হাজার ৫৯৪টি শেয়ার ৩৮৮ বার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ছিল ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা বা ৪ দশমিক ২২ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয় এক হাজার ৬২১ টাকায়। কোম্পানির ৮ হাজার ৬৫৯টি শেয়ার ১৯৫ বার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রেকিট বেনকিজার ৫১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪ দশমিক ১২ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার দশম স্থানে রয়েছে। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩০৭ টাকায়। এছাড়া লাফার্জ সুরমার ২ দশমিক ২৯ শতাংশ, সিঙ্গারবিডির ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিএটিবিসির ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ, লিন্ডেবিডির ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং বাটা সুর ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ দর বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সুনাম ও শক্তিশালী ভিত্তির কারণে বিনিয়োগকারীরা বরাবরই কোম্পানিগুলোর প্রতি আস্থা দেখিয়েছে। এছাড়া কোম্পানিগুলোর নগদ লভ্যাংশের হারও অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় অনেক বেশি তাই, বহুজাতিকে প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় সব ধরনের বিনিয়োগকারীই আগ্রহ দেখাচ্ছে। যার কারণে প্রতিনিয়তই বহুজাতিকের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ১.৪৫ শতাংশ। যা আগের সপ্তাহে কমেছিল ১.৮৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬.৮২ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে অবস্থান ছিল ১৭.০৭ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১.৪৫ শতাংশ বা ০.২৫ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক পিইর হিসাবে ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ৭.৭৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৮.৭৫ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ২১.৩০, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩০.৫৬, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের ১১.৯৮, পাট খাতের ২০২.৮৬, বস্ত্র খাতের ১১.৫৯, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৩.৩৩, সেবা ও আবাসন খাতের ৩৭.২৬, সিমেন্ট খাতের ২২.৭৮, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৮০, চামড়া খাতের ২৪.৮৫, সিরামিক খাতের ৩২.৭৫, বিমা খাতের ১৮.২৮, বিবিধ খাতের ৩৩.১৯, পেপার ও প্রকাশনা খাতের ১২.৭৪, টেলিযোগাযোগ খাতের ২২.৯৮, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৫.৫৫ পয়েন্টে।
×