ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ছয় শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৫ মার্চ ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ছয় শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে বেশকিছু শেয়ারের দর লোভনীয় পর্যায়ে চলে আসায় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আর এই কারণে আলোচ্য সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে প্রায় ছয় শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসে দেশের মধ্যে পুঁজিবাজারে দুদিন সূচক বেড়েছে, বাকি তিন দিন সূচক কমেছে। তবে এই মন্দা বাজারেও বহুজাতিক কেম্পানিগুলোর চাহিদা বেড়েছে। ভাল লভ্যাংশের আশায় সবাই মৌলভিত্তিক ওই সব শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ২.৩১ শতাংশ বা ১০৭.৯৭ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ২২৩টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির। সেখানে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪২২ কোটি ৩৬ লাখ ৪২ হাজার ৬১৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছিল ২.০৬ শতাংশ বা ৯৮.৩১ পয়েন্ট। সেখানে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৭ টাকা। সেই হিসাবে এ সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৯৮ টাকা বা ৫.৮৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৫টি। এর আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৩১ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬০টি। সেই হিসাবে ডিএসইতে এ সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ৩.৭০ শতাংশ বা ১ কোটি ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪৯৫টি। এ সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন হয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৩ টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৫২ কোটি ৭৮ লাখ ১২ হাজার ৫৩০ টাকা। সে হিসাব এ সপ্তাহের বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭ টাকা বা ১.১১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮০.২২ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩.২৭ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ১১.৫৩ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪.৯৮ শতাংশ। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাশা ডেনিমস, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইফাদ অটোস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গ্রামীণ ফোন, এসিআই, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ও মবিল যমুনা বিডি। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, নদার্ন জুটস, ইফাদ অটোস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, বার্জার পেইন্টস, এসিআই, ৭ম আইসিবি, দেশ গার্মেন্টস, ম্যারিকো ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আইডিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আইপিডিসি, শাহজিবাজার কোম্পানি লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক। সপ্তাহ শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ২.৬৬ শতাংশ বা ২৩১ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭ কোম্পানির শেয়ার দর। আলোচ্য সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৯১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৯ টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ১৪১ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৬ টাকা। সে হিসাবে আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১৩.২৭ শতাংশ বা ১৮ কোটি ৮০ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৭ টাকা। এ সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল মোট ৩ কোটি ৯০ লাখ ৩ হাজার ৫৮৮টি শেয়ার।
×