ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটে পরাজিত স্কটল্যান্ড

অস্ট্রেলিয়ায় বিধ্বস্ত স্কটল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৫ মার্চ ২০১৫

অস্ট্রেলিয়ায় বিধ্বস্ত স্কটল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলতি বিশ্বকাপে কোন ম্যাচেই তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি স্কটল্যান্ড। ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আরও বাজেভাবে হারল তারা। হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে আয়োজক অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে স্কটিশদের। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের ভয়ঙ্কর গতি ঝড়ে ২৫.৪ ওভারে মাত্র ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় স্কটল্যান্ড। স্টার্ক ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে শিকার সংখ্যাকে করেছেন ১৬। এটি তাকে এখন পর্যন্ত শীর্ষ উইকেট শিকারির আসন দিয়েছে। জবাবে ২০৮ বল হাতে রেখেই (১৫.২ ওভার) ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে অসিরা। ৬ ম্যাচেই হেরে বিশ্বকাপ শেষ করল স্কটিশরা। আর ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল অস্ট্রেলিয়া। টস জিতেই স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অসিরা। শুরু থেকেই গতি আর সুইংয়ে স্কট ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন স্টার্ক ও কামিন্স। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে তারা। কালাম ম্যাকলিয়ড ও ম্যাট মাচান অবশ্য কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন বিপর্যয় ঠেকানোর। তবে অসি পেসারদের সামনে সে প্রতিরোধও হয়েছে ক্ষণস্থায়ী। দ্রুতই ফিরে গেছেন ম্যাকলিয়ড (২২)। কাইল কোয়েটজারের পর স্টার্কের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তবে মাচান ছিলেন দারুণ আক্রমণাত্মক। অন্যপ্রান্তে ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে ফেরার হিড়িক পড়ে গেলেও তিনি তা-ব চালিয়ে গেছেন। ৩৫ বলে ৬ চারে ৪০ রান করার পর তাকেও শিকার করেন কামিন্স। শেষদিকে জোশ ডেভির ২৬ ও মাইকেল লিয়াস্কের অপরাজিত ২৩ রানে শতরান পেরোয় স্কটল্যান্ডের ইনিংস। ২৫.৪ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। অসি পেসারদের দাপটে স্কটল্যান্ডের ৫ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে যান। চলতি বিশ্বকাপেই স্কট ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয়বার এমনটা দেখা গেল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তাদের ৫ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এক বিশ্বকাপে দলের ৫ ব্যাটসম্যান দু’বার শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা বিশ্বকাপে এটিই প্রথম। স্টার্ক চারটি ও কামিন্স ৪২ রানে তিনটি উইকেট নেন। মামুলি লক্ষ্যটাকে তাড়া করতে নামে অসিরা ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা পরিবর্তন এনে। এ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক নিজেই। শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত। তবে দলীয় ৯২ রানের মধ্যেই ফিঞ্চ (২০), ক্লার্ক ও ওয়াটসনকে (২৪) সাজঘরে ফেরত পাঠায় স্কটিশ বোলাররা। ক্লার্ক ৪৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে আউট হন। তবে লক্ষ্যটা একেবারেই ক্ষুদ্র হয়ে গেছে ততক্ষণে। বাকি কাজটা সারেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার পাঁচে ব্যাট করতে নেমে। ১৫.২ ওভারেই জিতে যায় অসিরা। বল অব্যবহৃত রেখে জয়ের দিক থেকে বিশ্বকাপে এটি অসিদের দ্বিতীয় দ্রুততম বিজয়। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে আয়ারল্যান্ডকে ২২৬ বল বাকি থাকতেই হারিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সবমিলিয়ে ম্যাচটি শেষ হয়েছে মাত্র ২৪৬ বলেই। অর্থাৎ দু’দল মিলিয়ে ৫০ ওভারও খেলা হয়নি। চলতি বিশ্বকাপে এটিই সবচেয়ে ক্ষুদ্র পরিসরের ম্যাচ। তবে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এরচেয়েও অনেক কম সময়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার রেকর্ড আছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে মাত্র ১৪০ বলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা-কানাডার ম্যাচ। তিন বিশ্বকাপ খেলা স্কটিশরা এখনও জয়শূন্যই থাকল এ পরাজয়ের মাধ্যমে। বিশ্বকাপে মোট ১৪ ম্যাচ খেলা দলটি এখন পর্যন্ত জিততে পারেনি কোন ম্যাচ।
×