ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শচিন টেন্ডুলকর

বিশ্বকাপ জিতবে ভারত

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৫ মার্চ ২০১৫

বিশ্বকাপ জিতবে ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোন দল এবার একাদশ বিশ্বকাপ জিতে নেবে, সেই প্রশ্ন টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগ থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু কেউই জোর দিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বলতে পারেননি, ‘ভারতই চ্যাম্পিয়ন হবে।’ সেই কাজটি করলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকর। যেখানে সবাই বলছে, এখনও অনেক পথ বাকি; সেখানে টেন্ডুলকর শিরোপা মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতেই শোভা পাচ্ছে, তা দেখতেও পাচ্ছেন। ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে’ টেন্ডুলকর বলেই দিয়েছেন, ‘এবার বিশ্বকাপ জিতবে ভারতই।’ আর মাত্র তিনটি ম্যাচ বাকি। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হবে ভারতকে। এরপর সেমিফাইনালের পর হবে ২৯ মার্চ মেলবোর্নে ফাইনাল। গ্রুপ পর্বে ছয় ম্যাচের ছয়টিই জিতে নেয়া ভারত এখন পরের তিনটি ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। সর্বপ্রথম দলটিকে বাংলাদেশের বাধা পেরিয়ে যেতে হবে। ভারতের সামনে এখন যেই আসুক, তা নিয়ে টেন্ডুলকরের মাথাব্যথা নেই। দল চ্যাম্পিয়ন হবে, সেই দিকেই মনোযোগী টেন্ডুলকর। এর পেছনে যুক্তিও দিয়েছেন। বলেছেন, ‘ভারত যেভাবে খেলছে, ওরাই চ্যাম্পিয়ন হবে।খুব ভাল লাগছে দলের খেলা। আমরা ভাল বল করছি, ব্যাটিং ভাল হচ্ছে।ফিল্ডিংও ভাল হচ্ছে। এমন কোন বিভাগ নেই, যেখানে আমরা ভাল করছি না। ধারাবাহিকভাবে দল ভাল খেলছে।’ শচীনের আরও ব্যাখ্যা, ‘প্রথম প্রশ্ন ছিল, আমরা কী পাকিস্তানকে হারাতে পারব? আমার মনে হয়, দল ভাল খেললে আমরা পূর্ণ কৃতিত্ব দিই না। আমি কিন্তু ফুল ক্রেডিট দেব। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমরা উড়িয়ে দিয়েছিলাম। ওরা মোটেই খারাপ খেলেনি। কিন্তু ভারত যা খেলেছে, তাতে ওদের সে রকমই মনে হয়েছে। যখন মোহিত শর্মা রান আউট করল ডি ভিলিয়ার্সকে, সেটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।’ একদিনের ক্রিকেটে যেসব নিয়ম বদল করা হয়েছে, টেন্ডুলকরের অবশ্য মনে ধরেনি তা। তাই তো বলেছেনও, ‘ক্রিকেট বদলাচ্ছে। শেষ যে বদলটা হয়েছে, সেটা বোলারদের প্রতি একটু অবিচার হয়েছে। সার্কেলের ভেতর সারাক্ষণ ৫ ফিল্ডার রাখতে হচ্ছে। এর ফলে আগে যেখানে ২৬০-২৭০ উঠত, সেটাই এখন ৩১০ হয়ে যাচ্ছে। ২৯০ করলেও শুনছি ধারাভাষ্যকাররা বলছেন, এটা তাড়া করার মতো রান। কয়েক বছর আগেও এটা ছিল বড় রান। তাই এই বদলটায় খুব একটা খুশি হতে পারছি না। একদিকে ক্রিকেটের মান বাড়ানোর জন্য বোলারদের আরও উৎসাহিত করার কথা বলছি, অন্যদিকে এসব নিয়ম চালু করে বোলারদের হাত-পা বেঁধে দিচ্ছি। খুব ভাল বোলার না হলে এই নিয়মে সফল হওয়া কঠিন।’ টেন্ডুলকরের নিজের ক্যারিয়ারেও আক্ষেপের কথা জানান। অধিনায়ক হিসেবে সফল হতে না পারার আক্ষেপ আছে তার। এ নিয়ে বলেছেন, ‘আক্ষেপটা ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার ভূমিকা নিয়ে। আমার কাছে ক্রিকেট টিম গেম। এখানে ব্যক্তিগত কোন বিষয় নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেনের ভূমিকা অবশ্যই থাকে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের রান করতে হয়, বোলারদের উইকেট নিতে হয়। প্রথমবার ১২-১৩ মাস পরেই আমাকে ক্যাপ্টেনসি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এই ভাবনা থেকেই একজন ক্যাপ্টেন বাছা হয়। কিন্তু সে যদি দীর্ঘস্থায়ী না হয়, তাহলে সাফল্যের হার একেবারে শূন্য হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার মেয়াদ বেশিদিন ছিল না। এই খারাপ লাগাটা কোন দিন যাবে না।’
×