ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৫ মার্চ ২০১৫

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। এদের ৯০ শতাংশই যথোপযুক্ত চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যুবরণ করে। আর দেশে প্রতিবছর কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। আক্রান্তদের উল্লেখযোগ্য অংশই শিশু ও নবজাতক। বছরে প্রায় ৫৪ হাজার শিশু কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, যাদের অধিকাংশেরই বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসা করলে প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ রোগীর কিডনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে শিশুদের জটিল কিডনি রোগের লক্ষণ ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ক এক সিম্পোজিয়ামে এ তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান, বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন মিয়া। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ গোলাম মঈনউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান। ধন্যাবাদ জ্ঞাপন করেন ডাঃ রঞ্জিত রঞ্জন রায়। সিম্পোজিয়ামে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক অরবিন্দ বাগ্গা, ভারতের সেন্ট জোনস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক কিশোর ডি ফাডকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওজি জনসন ভিএএমসি কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক নাসিমুল আহসান প্রমুখ। অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, দেশে প্রায় ২ কোটি লোক কোন না কোন ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে। আক্রান্তের শতকরা ৭৫ ভাগ রোগী কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে এ মরণব্যাধির অস্তিত্ব ধরতে পারেন না। কিডনি বিকল রোগীর চিকিৎসা এত ব্যয়বহুল যে, মাত্র শতকরা ৭ থেকে ১০ ভাগ লোকের চিকিৎসা চালিয়ে যাবার সামর্থ্য আছে। দেশে প্রতি বছর ২৫ হাজার লোকের কিডনি বিভিন্ন কারণে হঠাৎ করে অকেজো হয়ে যায়। অন্য বক্তারা বলেন, বিভিন্ন কারণে কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে কারও কারও কিডনি হঠাৎ করে অকেজো হয়ে যায়। বাংলাদেশে ডায়রিয়া, অতিরিক্ত বমি, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, বিভিন্ন রকম ইনফেকশন, ম্যালেরিয়া, প্রসবকালীন জটিলতা, সাংঘাতিক ধরনের নেফ্রাইটিস, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও কিডনির পাথরের কারণে হঠাৎ করেও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। এ ধরনের কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার ভাল দিক হচ্ছে, এগুলো অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করা যায়। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা করলে অনেকের কিডনি পুনরায় স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে পায়। এদেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার লোকের কিডনি বিভিন্ন কারণে অকেজো হয়ে যায়। সঠিক চিকিৎসা করলে প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ রোগীর কিডনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
×