ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গণগ্রন্থাগারে আন্তর্জাতিক নারী চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৫ মার্চ ২০১৫

গণগ্রন্থাগারে আন্তর্জাতিক নারী চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারীর চোখে চলচ্চিত্র সেøাগানে শুরু হলো ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী চলচ্চিত্র উৎসব। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে চার দিনব্যাপী উৎসবের সূচনা হয় শনিবার। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া শাখাওয়াৎ হোসেনকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের নারী নির্মাতাদের এবং নারীকেন্দ্রিক বিষয়ের মোট ৭০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে উৎসবে। এর মধ্যে দেশের নারী নির্মাতাদের ছবি রয়েছে ৫টি। ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও এ্যানিমেশন চলচ্চিত্র। উইমেন্স ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত উৎসবে সিনেমা প্রদর্শনীর পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে সিনেমা বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার। আর দর্শকদের ভোটের ভিত্তিতে ৫টি সিনেমাকে দেয়া হবে অডিয়েন্স এ্যাওয়ার্ড । বসন্ত বিকেলে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা। প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন নন্দিত অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সারাহ বেগম কবরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান লাইলুন নাহার ইকরাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক মেহেদী হাসান, উৎসব সমন্বয়ক মশিউর রহমান, রেজওয়ানা খান প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, এ ধরনের উৎসব দেশের চলচ্চিত্রশিল্পকে প্রেরণা জোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে নারী নির্মাতাদের নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং নারীকেন্দ্রিক কাহিনীর ছবির এ উৎসব নতুন মাত্রা যোগ করবে। নারীরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলে তাদের সামনের দিকে এগিয়ে আনতে সরকার সব সময় সচেষ্ট। বুদ্ধিচর্চার দিক থেকে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য নেই। তাই চলচ্চিত্র নির্মাণেও নারীকে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। এ ধরনের উৎসবে নানারকম ছবি দেখে নারী নির্মাতারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, দেশের চলচ্চিত্রশিল্প বিকাশে সরকারীভাবে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি এফডিসিকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। এছাড়া ভবিষ্যতে শিশুতোষ চলচ্চিত্রের মতো নারী নির্মাতাদের জন্য পৃথক তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। সারাহ বেগম কবরী বলেন, এ ধরনের উৎসব আরও বেশি হওয়া দরকার। পাশাপাশি নারী নির্মাতাদের জন্য পৃথক সরকারী তহবিল করা দরকার। তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, দেশের সিনেমা হলগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। সিনেমা হলগুলোর সংস্কার করা দরকার। এছাড়া সিনেকমপ্লেক্সগুলোতে টিকিটের দাম অনেক বেশি। এত টাকা দিয়ে হয়ত অনেকেই সিনেমা দেখার সামর্থ্য রাখেন না। তাই টিকিটের দাম কম হওয়া দরকার। অনুষ্ঠানে দুইজন নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন ইয়াসমিন কবির ও শাহিদা আক্তার। এছাড়া নারীদের চলচ্চিত্র নির্মাণে সহায়তার জন্য ইমপ্রেস টেলিফিল্মকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেয়া হয়। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রদর্শিত হয় সামিয়া জামান নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আকাশ কত দূরে।’ ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলমান উৎসবে প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা ও বিকেল ৫টায় সিনেমা প্রদর্শিত হবে। দর্শনী ছাড়াই নারীরা সিনেমা দেখতে পারবেন এই উৎসবে। শামসুজ্জামান খান ৭৫ পূর্তি সংবর্ধনাগ্রন্থ ॥ অক্ষর প্রকাশনী সম্প্রতি প্রকাশ করেছে শামসুজ্জামান খান ৭৫ পূর্তি সংবর্ধনাগ্রন্থ। লোকগবেষক শামসুজ্জামানের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বইটি প্রকাশ করা হয়। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন সেলিনা হোসেন, মফিদুল হক এবং মাহবুবুল হক। শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আপন অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন শামসুজ্জামান খান। গ্রন্থটির পাশাপাশি শামসুজ্জামান খানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করেন শিল্পী হাশেম খান, এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, জনপ্রশাসন সচিব কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি অসীম সাহা, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, সাহিত্য সমালোচক ও গবেষক শান্তনু কায়সার, কবি মুহাম্মদ সামাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ। বহমান জীবন তরী গ্রন্থের প্রকাশনা ॥ প্রকাশিত হলো সাওদা চৌধুরী রচিত গ্রন্থ বহমান জীবন তরী। আত্মজৈবনিক বইটিতে সহজ-সরল ভাষায় উঠে এসেছে লেখকের জীবনের নানা বিষয়। সেই সঙ্গে রয়েছে লেখকের দেশ-বিদেশের ভ্রমণের সুখস্মৃতি। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি গ্রন্থটি নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পালক পাবলিশার্স। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রদূত জিয়াউস সামস্্ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব)। প্রসঙ্গত, ২৪০ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ৪০০ টাকা। শ্রীপুরে লালন স্মরণোৎসব ও মেলা শুরু ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা গাজীপুর থেকে জানান, বাউল সম্রাট মরমী সাধক ফকির লালন সাঁইজির স্মরণে গাজীপুরের শ্রীপুরে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব ও মেলা। শ্রীপুর উপজেলায় প্রহলাদপুর ইউনিয়নের লোহাগাছিয়ার সাধুর বাজার ফকির খালেক সাঁইয়ের আখরাবাড়িতে বিকেলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন উর রশীদ ওই লালন স্মরণোৎসব ও মেলার উদ্বোধন করেন। সাধুর বাজার স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে উদ্বেধানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ নূরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধুর বাজার আখরাবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ও লালন গবেষক ফকির খালেক সাঁই।
×