ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে তিন ভণ্ড ফকিরের আস্তানা ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১৫ মার্চ ২০১৫

বরিশালে তিন ভণ্ড ফকিরের আস্তানা ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের তিন ভ- ফকিরের আস্তানা শনিবার দুপুরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শত শত গ্রামবাসী। এ সময় তিন ভ- ফকির পালিয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধরা এক ফকিরের ভক্তকে গণধোলাই দিয়েছে। জানা গেছে, ওই গ্রামের কথিত ভ- ফকির হালিম শাহ্ (আকন), মালেক শাহ্ ও ইদ্রিস শাহ্ (কবিরাজ) গ্রামের মধ্যে তিনটি আস্তানা করে গ্রামের সহজ সরল ব্যক্তিদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ রাতে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, নগ্ন ছবি প্রদর্শন ও নেশার জমজমাট আড্ডা বসিয়ে গ্রামের পরিবেশ বিনষ্ট করে আসছিল। বিষয়টি শত শত গ্রামবাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর কাছে অভিযোগ দেয়ার পর শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ভণ্ড ফকিররা পালিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তিন ভ- ফকিরের আস্তানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধদের বাঁধা দিতে গিয়ে গণধোলাইর স্বীকার হয়েছে কতিথ ভ- ফকির মালেক শাহ্র ভক্ত টিপু আকন (২৭)। তাঁর লেখা থেকে হারানো মানিক খুঁজে বের করতে হবে পল্লীকবির মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তারা নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১৪ মার্চ ॥ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার ফরিদপুরে পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে কবির বাড়ির আঙ্গিনায় আয়োজিত আলেচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি বড় গ্রাম। এ গ্রাম বাংলার অতীত, ঐতিহ্য, লোকাচার, সংস্কৃতি আগামী প্রজন্মের কাছে সার্থকভাবে তুলে ধরতে হলে বার বার আমাদের পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের কাছে যেতে হবে। তাঁর লেখা ও সংগ্রহশালা থেকে গবেষণা করে গ্রাম বাংলার হারানো মানিকরতন খুঁজে বের করতে হবে এবং তা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন, জসীম ফাউন্ডেশন, ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থা, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ, বিনোদন নাট্য দল, শিল্পকলা একাডেমি, আনসারউদ্দিন উচ্চ বিদ্যায়লসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুর রশীদ। আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ারুল ইসলাম, কবির ছেলে জামাল আনোয়ার, অধ্যাপক এমএ সামাদ, মু. আবুল ফয়োজ শাহনেওয়াজ, মফিজ ইমাম, আবু সুফিয়ান চৌধুরী প্রমুখ।
×