ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মঞ্জুর হত্যা মামলা

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ১৩ মার্চ ২০১৫

মঞ্জুর হত্যা মামলা

কোর্ট রিপোর্টার ॥ মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত করে আগামী ১৪ মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন ঢাকার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ সময়ের আবেদন জানালে বিচারক এসএম সাইফুল ইসলাম আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার নতুন করে আবার সাক্ষী নেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সব সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে ২২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালতের বিচারক খন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ। আদালতে মামলার প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হাজির ছিলেন না। তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তার পক্ষে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম হাজিরা প্রদান করেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, মেজর (অব) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। ৫ আসামির মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে মেজর জেনারেল (অব) আব্দুল লতিফ ও লেঃ কর্নেল (অব) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম। চট্টগ্রামে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকা-ের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। এর আগে ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বর্তমানে আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছেন। মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর মামলাটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেও বিচারক বদলি হওয়ায় তা আবার পিছিয়ে যায়। গত ২২ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হোসনে আরা আকতার ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু রায়ের মাত্র ১৩ দিন আগে ২৯ জানুয়ারি তিনি পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ। হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলাটিতে বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
×