ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গোপালগঞ্জে সালিশে হামলা ॥ নিহত এক আহত তিন

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ১৩ মার্চ ২০১৫

গোপালগঞ্জে সালিশে হামলা ॥ নিহত এক আহত তিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১২ মার্চ ॥ কোটালীপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের সালিশ চলাকালীন প্রতিপক্ষের হামলায় নওয়াব আলী খন্দকার (৬৯) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়াও গুরুতর আহত হন একইপক্ষের আলীম খন্দকার (২৬) ও বাবুল খন্দকার (২৮) এবং প্রতিপক্ষের আলমগীর খন্দকার (৫৪) সহ আরও তিনজন। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় সেলিম খন্দকার (৪২) ও আলমগীর খন্দকারকে আটক করেছে। কোটালীপাড়ার ভাঙ্গারহাট পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সুমন আইচ জানিয়েছেন, নওয়াব আলী খন্দকারের একটি জমি একই গ্রামের সেলিম খন্দকার জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এ নিয়ে বুধবার রাতে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে সেলিম খন্দকারের বাড়িতে সালিশ বসে। এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে সেলিম গ্রুপের লোকজন নওয়াব আলী খন্দকার ও তার লোকজনের ওপর হামলা করে এবং বেধরক মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলেই নওয়াব আলীর মৃত্যু ঘটে। দৌলতপুরে আহত এক নিজস্ব সংবাদদাতা দৌলতপুর থেকে জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মাহাতাব আলী (৫৫) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের গাছিরদিয়াড় গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের মাহাতাব আলীর সাথে আলাউদ্দিনের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সকালে গাছিরদিয়াড় মাঠে নিজ ক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে তার ভাড়াটিয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসী সুজন, ফেরদুল, আমিরুল, খোকন, রমজান ও খাকদেল মাহাতাবের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল থেকে নির্বিঘেœ চলে যায়। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পরপর ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ডায়েরিতে কর্মকর্তাদের আগে শিক্ষকের নাম ॥ বাকৃবিতে ভাংচুর বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বার্ষিক ডায়েরিতে শিক্ষকদের নাম কর্মকর্তাদের নামের পূর্বে দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার ছাত্রবিষয়ক কার্যালয়ে ভাংচুর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। জানা যায়, ২০১৫ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরিতে বিভাগ অনুসারে শিক্ষকদের নাম ও পদবি আগে দেয়ায় অসন্তুষ প্রকাশ করে কর্মকর্তারা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ডায়েরিতে তাদের নাম আগে দেয়ার জন্য প্রশাসনকে চাপ দিতে থাকে এবং মুদ্রিত ডায়েরি বিতরণে বাধা সৃষ্টি করে। জানুয়ারি মাসে মুদ্রিত হলেও তাদের চাপে তা বিতরণ করতে পারেনি। গতকাল প্রশাসন ডায়েরি বিতরণ শুরু করলে তারা বাধার সৃষ্টি করে এবং তাদের নাম আগে দিয়ে নতুন করে আবার ডায়েরি মুদ্রণের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিস্তু প্রশাসন তাদের কথা কান না দেয়ায় ছাত্রবিষয়ক বিভাগের অফিসে ভাঙ্গচুর চালায় কর্মকর্তারা। এ সময় তারা ২০১৫ বর্ষের ডায়েরি পুড়িয়ে দেয়। কর্মকর্তাদের দাবি ডায়েরিতে তাদের নাম পরে দিয়ে তাদের হেয় করা হয়েছে। এ বিষয়ে অফিসার পরিষদের সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, ৫৪ বছর ধরে ডায়েরিতে প্রশাসনে অবস্থান অনুসারে কর্মকর্তাদের নাম প্রথম দিকেই দেয়া হতো। কিন্তু এ বছর কর্মকর্তাদের আমাদের হেয় করতেই নামের ক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ বিষয়ে ডায়েরি বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ জহিরুল হক খন্দকার বলেন, কমিটির সকল সদ্যস্যের সর্বস্মতিক্রমে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে এ বছরের ডায়েরি ছাপানো হয়েছে। আর ওই কমিটিতে রেজিস্ট্রারসহ চার জন্য কর্মকর্তাও ছিল।
×