ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অগ্নিকাণ্ডে ৩৪ বসতঘর পুড়ে ছাই, বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৩ মার্চ ২০১৫

অগ্নিকাণ্ডে ৩৪ বসতঘর পুড়ে ছাই, বৃদ্ধার মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কিশোরগঞ্জে খুনের জেরে প্রতিপক্ষের আগুনে তেরো বসতঘর, ভোলার চরফ্যাশনে অগ্নিকা-ে দুটি বসতঘর, নেত্রকোনায় একটি গরু, দুই ছাগলসহ ছয় বসতঘর ও নীলফামারীতে চৌদ্দ বসতঘর পুড়ে গেছে। এসব ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু ও দুই ব্যক্তি দগ্ধ হয়েছেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো- কিশোরগঞ্জ ॥ জেলার হোসেনপুরে খুনের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২টি বসতঘর ও ১টি কনফেকশনারি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের টানসিদলা গ্রামে আগুন দেয়ার ঘটনাটি ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত ২ মার্চ উপজেলার নামা সিদলা গ্রামের শাহজাহান মিয়া (২৫) ও টানসিদলা গ্রামের লিংকনের (২৩) মধ্যে মোটরসাইকেল ও সাইকেলের সংঘর্ষ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হলে ৪ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহত শাহজাহান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে মারা যায়। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিদ্দিক হোসেনের পক্ষের লোকজন টানাসিদলা গ্রামে লিংকনের লোকজনের বাড়িতে আগুন দেয়। চরফ্যাশন ॥ ভোলার চরফ্যাশনের জিন্নাগড় মুসলিমপাড়া গ্রামে আগুনে দুটি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ সময় সুফিয়া বেগম ও রোকেয়া বেগম নামের দুই মা-মেয়ে দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ দুজনকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তির পর বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নেত্রকোনা ॥ সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামে বুধবার গভীর রাতে অগ্নিকা-ে ১টি গরু ও ২টি ছাগলসহ ৬টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জানা গেছে, কালাইয়া গ্রামের লালচু মিয়ার গোয়ালঘরের মশা তাড়ানোর আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গ্রামবাসী এগিয়ে এলেও বাড়ির পাশ ঘেঁষে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে টিনের ঘর বিদ্যুতায়িত হওয়ায় তারা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়। নীলফামারী ॥ ভয়াবহ অগ্নিকা-ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নীলফামারী সদরের চওড়া-বড়গাছা ইউনিয়নের ছত্রছাল কাঞ্চনপাড়া গ্রামে ওমেনা বেওয়া (৭২) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ সময় ৫ পরিবারের ১৪টি টিনের ও খড়ের ঘরসহ আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ ভস্মীভূত হয়। এ ছাড়া তিনটি ছাগল ও অর্ধশতাধিক হাঁস-মুরগি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত ওমেনা বেওয়া ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের বিধবা স্ত্রী।
×