ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষার্থীরাই বেশিরভাগ ক্রেতা

বাউফলে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক ॥ ৬০ স্পটে রমরমা আসর

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৩ মার্চ ২০১৫

বাউফলে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক ॥ ৬০ স্পটে রমরমা আসর

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১২ মার্চ ॥ বাউফলে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় গাঁজা ও ইয়াবা। স্থানীয়ভাবে তৈরি হচ্ছে ঝাঁকি। বিভিন্ন ধরনের কাশির সিরাপের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এ ঝাঁকি তৈরি করা হয় । ইয়াবা এখানে বাবা নামে পরিচিত। পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা। বেশিরভাগ স্কুল-কলেজ পড়–য়াই হচ্ছেন এর ক্রেতা। এখানে এক একটি ইয়াবা ৩ থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি করা হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে সরাসরি এসব মাদকদ্রব্য বাউফলে নিয়ে আসা হয়। মাদক বিক্রেতাদের সাথে ঢাকা-বাউফলগামী লঞ্চের স্টাফদের রয়েছে বিশেষ সখ্য। তাদের মাধ্যমেও এসব মাদকদ্রব্য অতি নিরাপদে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেয়া হয়। বাউফল শহরের কাগজিরপুলের বৈশাখী সিনেমা হলের পেছন, বাসস্ট্যান্ড, বাউফল কলেজের পরিত্যক্ত টিনশেড ভবন, কলেজের ব্রিজ, লিচুতলার পরিত্যক্ত মাঠ, গোলাবাড়ীরব্রিজ, মুসলিমপাড়ার নীলক্ষেত রোড, বাউফল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছন ও অডিটরিয়াম, রেজিস্ট্রি আফিসের পেছন এলাকা, মহিলা কলেজ, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, ভূমি অফিস এলাকা, পুরাতন বিদ্যুত অফিস, গার্লস স্কুলের পেছনে সাহাপাড়া, বাংলালিংক টাওয়ার এলাকা, পোস্ট অফিসের সামনে, প্রাণিসম্পদ অফিস সড়ক, হাসপাতালের পেছনে পুকুরপার, প-িতবাড়ির পুকুরপার, কালীমন্দির এলাকা এবং উপজেলা পরিষদের পেছনের সড়ক ও এমপির ব্রিজ এলাকা, আতাহার গাজী ব্রিকফিল্ড এলাকাসহ উপজেলার কমপক্ষে ৬০টি স্পটে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে মাদক সেবন ও বিক্রি। সিরাজগঞ্জে ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক উধাও ॥ সাময়িক বরখাস্ত স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ উল্লাপাড়া উপজেলার মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বুধবার রাতে একই স্কুলের ধর্মবিষয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হক নিয়ে পালিয়ে যাবার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষক মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, শিক্ষক মাহমুদুল হক ওই ছাত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। জনগণ এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বরখাস্ত দাবি করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষক মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বরখাস্তের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তাকে রাতেই কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করেছেন। শুধু তাই নয় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।
×