ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হ্যামিলটনে বৃষ্টির অভ্যর্থনা!

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১৩ মার্চ ২০১৫

হ্যামিলটনে বৃষ্টির অভ্যর্থনা!

ফজলুল বারী, হ্যামিলটন থেকে ॥ বৃষ্টিকে অভ্যর্থনা করেছে হ্যামিলটন! বৃহস্পতিবার অকল্যান্ড থেকে সড়কপথে হ্যামিলটন আসার পথে ঝড়িবৃষ্টি দেখে দেখে আসতে হয়েছে। শহরটায় পৌঁছার পরও চলছিল ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি! থামার যেন নাম নেই! অথচ এই শহরেই শুক্রবার হবে অন্যতম আয়োজক নিউজিল্যাল্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাংলাদেশের। বৃষ্টির কারণে আরেক আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ হতে পারেনি ব্রিসবেনে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আয়োজকদের ম্যাচ হলেই কী তা ভালবাসে বৃষ্টি! তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে শুক্রবার ম্যাচের সময়ে রোদেলা দিন থাকবে হ্যামিলটনে। যদিও এই বৃষ্টি ধকল রেখে গেল শুক্রবারের ম্যাচের শরীরে! বৃহস্পতিবার বৃষ্টির মধ্যে সেডন পার্কে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। আর বৃষ্টিতে নিউজিল্যান্ড দল খোলা মাঠে অনুশীলন করতেই পারেনি। বৃহস্পতিবার হ্যামিলটন পৌঁছে বিশ্বকাপের আঁচ বেশ টের পাওয়া যায়। পথে পথে ব্যানার-ফেস্টুন। দোকানে দোকানে ঝোলানো বিশ্বকাপের দলগুলোর ছোট ছোট পতাকা। সিটি সেন্টারের কাছের হোটেলের সামনের রাস্তায় পাশে ঝোলানো পাশাপাশি ঢাউস দুটি পতাকা বাংলাদেশের আর নিউজিল্যান্ডের। সে দুটির যমজ ছবি তুলতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে থাকা পথের ছবিই উজ্জ্বল ভাসে। ছোট শহর হ্যামিল্টন। নিউজিল্যান্ডের আরও সব শহরের মতো এটিও ছবির মতো সাজানো সুন্দর। অবয়বে ছোট মনে হলেও এটি চতুর্থ বৃহত্তম শহর নিউজিল্যান্ডের। দেশটির সাবেক এক প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড জন হ্যামিলটনের নামে এর ক্রিকেট গ্রাউন্ড সেডন পার্ক। এই ক্রিকেট গ্রাউন্ডটি অবশ্য বিশেষ পরিচিত নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদের। কারণ ২০০৭ সালে এখানে এক টি-২০ ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল। অবশ্য বাংলাদেশের সিডর দুর্গতদের সাহায্যের জন্য অনুষ্ঠিত ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হওয়াতে সে ম্যাচের কথা ক্রিকেট রেকর্ডবুকে নেই। নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলও সে ম্যাচে খেলেনি। রেকর্ডবুকে যাই থাকুক এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদের। কারণ আগের টানা ৭ ম্যাচ বাংলাদেশ হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। এবারের বিশ্বকাপে চোখে পড়ার মতো ফর্মে থাকা বাংলাদেশ দল এক ল্যান্ডকে (ইংল্যান্ড) এ্যাডিলেডে পরাভূত করার পর আরেক ল্যান্ডকে (নিউজিল্যান্ড) তারা হারাতে এসেছে! এমনিতে হ্যামিলটন প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যা ৮-১০ পরিবারের বেশি হবে না। মাঠের বাংলাদেশ সমর্থকগোষ্ঠীদের গ্যালারি ভরাতে ভরসা অকল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশীরা। অকল্যান্ডে সেই প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারের সংখ্যাও ৩, সাড়ে ৩শ’ পরিবারের মধ্যে। প্রবাসী ছাত্রদের সংখ্যাও ৫-৬শ’র বেশি নয়। প্রায় দু’ঘণ্টার ড্রাইভে গাড়ি হাঁকিয়ে তারা দলে দলে সেডন পার্ক মাতাতে আসবেন সে অপেক্ষা সবার। অকল্যান্ড প্রবাসী প্রকৌশলী শফিকুল রহমান ভূঁইয়া অনু জানালেন তাদের অনেকে দু’তিন মাস আগে টিকেট কিনেছেন। বাংলাদেশ দলের জার্সি, জাতীয় পতাকা আনিয়েছেন দেশ থেকে। খেলাটা নিয়ে তাদের এমন অনেক প্রস্তুতি। খেলার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্যও বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানটি খেলার আগে হবে সেডন পার্কের ফান জোনে। গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা লাগিয়ে অকল্যান্ড থেকে আসবে বাংলাদেশীদের গাড়ির বহর। বহরে থাকবে ৪টি বাস ও শতাধিক গাড়ি।
×