ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টঙ্গীতে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই এএসআই ক্লোজড

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৩ মার্চ ২০১৫

টঙ্গীতে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই এএসআই ক্লোজড

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ১২ মার্চ ॥ টঙ্গীতে এক ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে টঙ্গী মডেল থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই দুই পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। জানা যায়, সাবেক টঙ্গী পৌরসভার কার্যাদেশে মরকুন পৌর কবরস্থান মসজিদ নির্মাণের সময় স্থানীয় সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ থেকে বাকিতে সিমেন্ট নিয়ে কাজ করতেন প্রকল্পের ঠিকাদার রবিউল আলম পাইলট। প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও সিমেন্টের বাকি টাকা পরিশোধ করেননি ওই ঠিকাদার। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আবু সায়েম বকেয়া ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার জন্য তাগাদা দিয়ে আসছিলেন। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি এলাকায় সালিশ বৈঠকও করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদার পাইলট বুধবার রাতে ইসরাফিলসহ ৩-৪ জনের একটি সাদা পোশাকে টঙ্গী থানার এএসআই সালাহ উদ্দিন ও এএসআই সাফিউল আলমকে নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় ব্যবসায়ী আত্মরক্ষার্থে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। তারা ওই বাড়িতে গিয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর করে। এ সময় ব্যবসায়ী আবু সায়েমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুই পুলিশ সদস্যসহ তাদের আটক করা হয়। আটকের পর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহত ব্যবসায়ী আবু সায়েমকে গুরুতর আহত অবস্থায় টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ২৫ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী আবু সায়েম বলেন, ‘পাওনা টাকা চাওয়ায় ইতোপূর্বেও তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে এবং ঠিকাদার পাইলট প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি কোথাও বিচার পাচ্ছেন না।’ ঠিকাদার রবিউল আলম পাইলট অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আবু সায়েমের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক। তিনি ৯০ হাজার টাকার বকেয়ার সিøপ দিলে তা তিনি পরিশোধ করেন। বর্তমানে আবু সায়েম তার কাছে কোন টাকা পাবেন না।’ এ ব্যাপারে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে সাদা পোশাকে অভিযানে যাওয়ার অভিযোগে এএসআই সালাহ উদ্দিন ও এএসআই সাফিউল আলমকে গাজীপুর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
×