ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এগিয়ে যাচ্ছে পোশাক খাত

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১২ মার্চ ২০১৫

এগিয়ে যাচ্ছে পোশাক খাত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সামাজিক ও পরিবেশগত মান বজায় রেখে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধন, প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে এ খাতে আমূল পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। বিশেষ করে গত ২০১৩ সালের অপ্রত্যাশিত শিল্প দুর্ঘটনা বাংলাদেশের শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের জন্য ছিল একটি টার্নিং পয়েন্ট। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পে প্রায় ৪০ লাখ নারী এবং পুরুষ শ্রমিক কাজ করছে। তাদের উপযুক্ত মজুরি, ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, কর্মবান্ধব ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। মন্ত্রী বলেন, জি-৭ ভুক্ত দেশসমূহের বিশ্বমানের ব্রান্ড ও পোশাক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহকে টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় পোশাক উৎপাদনকারীদের উৎপাদিত পোশাকের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ন্যায় ও উপযুক্ততা বিবেচনা করা প্রয়োজন। জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত দুই দিনের জি-৭ স্টেকহোল্ডার কনফারেন্সে যোদগান করে বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার এ সব কথা বলেন। কনফারেন্সে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সাতিয়ার্থি, জার্মানির ফেডারেল মিনিস্টার ফর লেবার এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার আনদ্রে নাহলেজ এবং ফেডারেল মিনিস্টার ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ড. গার্ড মুলার বক্তৃতা করেন। তারা সকলে তৈরি পোশাক শিল্পের গুণগত পরিবর্তনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং আন্তরিকতার বিষয়ে প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, বিশ্বে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ শিল্প-কলকারখানায় শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। তোফায়েল আহমেদ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কযুক্ত জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সাসটেইনেবল কমপ্যাক্ট মোতাবেক তৈরি পোশাক খাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন অব্যাহত রেখেছে। সুখের বিষয়, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এ খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এখন আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি উন্নত ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারের চাহিদা মোতাবেক তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে বাংলাদেশ সক্ষম।
×