ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীর জীবনী গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১২ মার্চ ২০১৫

নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীর জীবনী গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে বুলবুল চৌধুরী নৃত্য জগতের এক কিংবদন্তির নাম। নৃত্য ও শিল্পকলায় তাঁর সৃষ্টি এখনও অনুপ্রেরণা যোগায় অসংখ্য মানুষকে। তাঁর জীবনকাল ছিল মাত্র ৩৫ বছর। এরই মধ্যে শিল্পী ও শিল্পস্রষ্টা হিসেবে তিনি রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় কীর্তি। চিত্রাঙ্কন ও সাহিত্য রচনায়ও তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। যদিও তাঁর প্রতিভার সার্বিক স্ফুরণ ঘটেছিল নৃত্যশিল্পে। নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীর জীবনী নিয়ে ‘সুন্দর এই পৃথিবী আমার’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয় ডেইলি স্টার সেন্টারের এএস মাহমুদ সেমিনার হলে বুধবার বিকেলে। বুলবুল চৌধুরীর সহধর্মিণী আফরোজা বুলবুলের স্মৃতিকথায় লিপিবদ্ধ এ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দি ডেইলি স্টার ও এ্যাডর্ন পাবলিকেশন। অনুষ্ঠানে বুলবুল চৌধুরীকে নিবেদিত পথিকৃৎ নৃত্য পরিবেশিত হয়। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেনÑ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, নৃত্যব্যক্তিত্ব আমানুল হক, লায়লা হাসান, মিনু হক, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, দি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বুলবুল চৌধুরীর কন্যা নার্গিস বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের লিখিত বুলবুল চৌধুরী ও গ্রন্থের লেখিকা আফরোজা বুলবুলের জীবনী পাঠ করেন জয়শ্রী সরকার। এরপর বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও স্মৃতিচারণ সভায় বক্তারা বলেন, বুলবুল চৌধুরীর দৈর্ঘ্যরে দিক দিয়ে হয়ত স্বল্পস্থায়ী ছিল তাঁর জীবন কিন্তু গভীরতা, কীর্তি ও তাৎপর্যে তা ছিল সমুদ্রসম। তাঁর জীবনী নিয়ে এ গ্রন্থ হলো অনন্য এক সৃষ্টি। এর মাধ্যমে এ অসাধারণ শিল্পীর ৩৫ বছরের কর্ম সম্পর্কে আমরা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারব। নৃত্যে তাঁর যে সৃষ্টি এ নিয়ে অনেকেই নৃত্যশৈলীতে হয়েছেন বর্ষীয়ান। তাঁকে কেন্দ্র করে আফরোজা বুলবুলের অবদানও অনেক। তিনি স্বামীর নামে করাচীতে বুলবুল ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বুলবুলের কন্যা নার্গিস বুলবুল এ বইটি প্রকাশের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। তিনি তাঁর মায়ের অসমাপ্ত কাজকে সম্পন্ন করেছেন এই বইটি প্রকাশের মাধ্যমে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বইটি এক ইতিহাস হয়ে থাকবে। আলোচনার পর পরিবেশিত হয় বুলবুল চৌধুরীকে নিবেদিত নৃত্যানুষ্ঠান। দলীয় নৃত্যে অংশ নেয় শিল্পী অনিক বসুর নেতৃত্বে বাফার শিল্পীরা এবং পূজা সেনগুপ্ত ও তাঁর দল। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে ১৪ মার্চ ॥ নারী নির্মাতাদের নির্মিত বৈচিত্র্যময় সৃজনশীল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ।’ ‘নারীর চোখে চলচ্চিত্র’ সেøাগানে দ্বিতীয়বারের মতো চার দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে উইমেন্স ফিল্ম সোসাইটি। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে আগামী ১৪ মার্চ বিকেল ৪টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সাংসদ সারা বেগম কবরী। উৎসব উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন হয় বুধবার দুপুরে। এতে উপস্থিত ছিলেন উইমেন্স ফিল্ম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নাইলুন নাহার একরাম, উৎসব পরিচালক মেহেদী হাসান, মিডিয়া কো অর্ডিনেটর মশিউর রহমান প্রমুখ। শুরুতে উইমেন্স ফিল্ম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নাইলুন নাহার তাঁর বক্তব্যে এ উৎসবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, নারী দিবসের মাস বলেই মার্চে আমরা এ উৎসবের আয়োজন করছি। কোন এক সময়ে আমাদের দেশের মহিলাদের শুধু অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই ভাবা হতো। পরবর্তীতে দেখা যায়, তাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দর্শকদের বিশেষ করে নারীদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে দেয়া এবং দেশের নারীরা যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হয়, এ কারণেই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত এ আয়োজনের মাধ্যমে মহিলা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসবে মোট ২৯টি দেশের ৭০টি নারী নির্মাতার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ছবিগুলোর মধ্যে থাকবে পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রমাণ্যচিত্র ও এনিমেশন চলচ্চিত্র। উৎসবে প্রদর্শিত ছবিগুলোর মধ্য থেকে দর্শকদের ভোটে ৫টি ছবিকে দেয়া হবে অডিয়েন্স এ্যাওয়ার্ড। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হবে বাংলাদেশের নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতকে। কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন ও সেমিনার কক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য কর্মসূচী। উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হবে সামিয়া জামান নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আকাশ কত দূরে’। আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা, ২টা ও বিকেল ৫টায় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবে সকল প্রদর্শনী নারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও ১৫ ও ১৬ মার্চ রেজিট্রেশন ফি ছাড়া নারীদের জন্য চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। ‘টিকা শিশুর জীবন বাঁচায়’ শীর্ষক প্রদর্শনী ॥ শিশুকে টিকা দেয়া সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যে চলমান ক্যাম্পেনের অংশ হিসেবে ‘টিকা শিশুর জীবন বাঁচায়’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিসেফ মনোনীত এজেন্সি বাংলা কমিউনিকেশন্স লিমিটেড আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত ৬০টি ছবি নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী মিলনায়তনে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী। আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী।
×