ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দিনাজপুরে কমছে আবাদি জমি

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১১ মার্চ ২০১৫

দিনাজপুরে কমছে আবাদি জমি

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ কৃষি প্রধান জেলা দিনাজপুরের আবাদী জমির পরিমাণ দিন দিন কমতে শুরু করেছে। জমির মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে ইটভাঁটি, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। ফলে আবাদী জমিতে কৃষি পণ্য উৎপাদনে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। এই প্রক্রিয়াকে রোধ করতে না পারলে আবাদী জমির উৎপাদন হ্রাস পাবে। কমে যাবে জমির পরিমাণ, দেখা দিতে পারে খাদ্য ঘাটতি। দিনাজপুর জেলায় জমির পরিমাণ ৬ লাখ ৯ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদযোগ্য জমি হচ্ছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪ শত ৩১ হেক্টর। দিনাজপুরের খাদ্য চাহিদা বাৎসরিক ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯ মেট্রিক টন হলেও উৎপাদন হয় বাৎসরিক ১৩ লাখ ৩ হাজার ৯ শত ২৩ মেট্রিক টন। অতিরিক্ত খাদ্যশস্য রাজধানীসহ অন্য জেলায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এখন জমির উৎপাদন বন্ধ করে যেভাবে জমিতে ঘরবাড়িসহ নানান স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে খাদ্য উৎপাদন এখন হুমকির সম্মুখীন। এর অন্যতম কারণ বিপুল জনসংখ্যার আবাসস্থানের সঙ্কট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরবাড়িসহ জমির মধ্যে স্থাপনা নির্মাণে যদি প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয় তবেই আবাদী জমিতে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। আর এই জন্য সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা জানান, এ ব্যাপারে জমির মালিকদের সচেতন হতে হবে। না হলে জমির মাঝে স্থাপনা তৈরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। আবাদী জমির ওপর স্থাপনা নির্মাণের নীতিমালা বা আইন একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রাক্তন কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিস আলী শাহ্ জানান, আবাদী জমির ওপর ব্যাপকহারে ঘর, বাড়ি, মিল, কারখানা, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে জমির পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। কিন্তু আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিন খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারী নিয়মনীতি মেনে আবাদী জমির স্থাপনা তৈরি করলে ক্ষতির পরিমাণটা কম হবে। তবে সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে সরকারকে। আমাদের সীমিত ভূ-সম্পদ রক্ষা করার জন্য জমির মালিকদের সঙ্গে সরকারকেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।
×