ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি

খালেদার আবেদনের রায় ফের পিছিয়ে ১৫ মার্চ

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ৯ মার্চ ২০১৫

খালেদার আবেদনের রায় ফের পিছিয়ে ১৫ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা বাতিলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদনের রায় পিছিয়েছে। রবিবার খালেদার আইনজীবীদের এক আবেদনে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন ঠিক করে দেয়। খালেদার পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই আদালত রায়ের জন্য ১০ মার্চ ধার্য করেছিল। সেদিন এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে খালেদার কোন আইনজীবী ছিলেন না। স্থগিতাদেশের কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকা এ মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন সচলের উদ্যোগ নিলে হাইকোর্টের দেয়া রুলের ওপর গত সপ্তাহে চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। বুধবার বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় দুই ঘণ্টা নিজের যুক্তি তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, এ মামলায় অপরাধের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। তাই এ পর্যায়ে মামলাটি বাতিল করা ঠিক হবে না। জরুরী অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোঃ সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনী হবে না জানতে চেয়ে, রুল জারি করেন পরে সময়ে সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশীট দেয়া হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
×