ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাইয়ুম চৌধুরীর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৯ মার্চ ২০১৫

কাইয়ুম চৌধুরীর  ৮৩তম  জন্মবার্ষিকী  আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর তিরাশিতম জন্মবার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৩২ সালের এই দিনে তিনি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ষাট বছরের নিরলস চিত্র সাধনার মধ্য দিয়ে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন এদেশের শীর্ষ শিল্পীদের অন্যতম। তাঁর চিত্রপটে উঠে এসেছে আবহমান বাংলার অনির্বচনীয় সৌন্দর্য। বৈচিত্র্যময় শিল্পযাত্রায় চিত্রকলা সৃজনের পাশাপাশি গ্রন্থের প্রচ্ছদ, অলঙ্করণ, মুদ্রণ পরিপাট্য, আমন্ত্রণপত্র, পোস্টার ও লোগো ডিজাইনসহ নানা ক্ষেত্রে তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বিরতিহীন চর্চায় ও সাধনায় এ ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ গ্রাফিক্স শিল্পীতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। এই শিল্পীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন দুটি স্মারক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। বেঙ্গল গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টস মাসিক সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলমের সচিত্রকরণে ব্যবহৃত তাঁর মূল ড্রইংসমূহ নিয়ে ‘কালি ও কলমে কাইয়ুম চৌধুরীর রেখালেখ্য’ শীর্ষক নির্বাচিত রেখাচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সংগ্রহ থেকে নির্বাচিত চিত্রকর্ম নিয়ে বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জ আয়োজন করছে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় ধানম-ির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শিল্পী রফিকুন নবী এবং শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী যৌথভাবে প্রদর্শনী দুটি উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখবেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত এবং শিল্পীপুত্র মইনুল ইসলাম জাবের। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী তাঁর অনন্য চিত্রভাষার জন্য বিখ্যাত, যা তিনি বিভিন্ন লোকজ মোটিফের নান্দনিক ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি গব. আর্ট ইনস্টিটিউট (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে ¯œাতক ডিগ্রী লাভ করেন। দেশের প্রায় সকল প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দেলনে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। একুশে পদক পান ১৯৮৬ সালে। একই সঙ্গে কাইয়ুম চৌধুরী দেশের একজন স্বনামধন্য অঙ্কনশিল্পী ও নকশাবিদ ছিলেন, যিনি দশবার ‘ন্যাশনাল বুক সেন্টার পুরষ্কার’ লাভ করেছেন। তিনি ৩৭ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষকতা করার পর ১৯৯৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালের নবেম্বরে বাংলাদেশের শিল্পকলা ইতিহাসের এই প্রাণপুরুষের জীবনাবসান ঘটে। সঙ্গীতানুরাগী এই শিল্পী আর্মি স্টেডিয়ামে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবে অতিথির বক্তৃতা দেয়ার সময় মাথা ঘুরে মঞ্চে পড়ে যান। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
×