ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত

কক্সবাজারে মহাসড়কের ওপর বালু রেখে ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৯ মার্চ ২০১৫

কক্সবাজারে মহাসড়কের ওপর বালু রেখে  ব্যবসা

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ জেলার অন্তত বারোটি পয়েন্টে মহাসড়কে প্রকাশ্যে বালুর স্তূপ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বালুবাণিজ্যে করছে। এতে সড়ক দুর্ঘটনাসহ রাস্তায় ব্যারিকেট বসিয়ে যানবাহনে ডাকাতি হওয়া সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। টেকনাফ সড়কে খুনিয়াপালংসহ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্তত ১২টি পয়েন্টে কতিপয় বালু ব্যবসায়ীরা সড়ক দখল করে চালু করেছে এ বালু ব্যবসা। ইতোপূর্বে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা একাধিকবার অভিযান চালিয়ে সড়ক দখল করে বালু ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে জেলজরিমানা করেছিল। আবারও গত দুইমাস রাস্তার পাশে বালু স্তূপ করে চলছে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এখনও। ফলে বালু ব্যবসায়ীরা দিব্যি সড়কের উপর বালু মজুদ করে নির্বিঘেœ চালাচ্ছে তাদের ব্যবসা। এ অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে ছোটখাটো একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার খুটাখালী বাজারের দক্ষিণে সেতুর নিচে রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান মাস্টার, শামসুদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন, মিন্টু, রানা, শাহজাহান, আবদুর রহমান, জসিম উদ্দিন ও আবু তাহের, মালুমঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আবদুল করিম, ডুলাহাজারা কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমরান, ইউনুছ, আবদুল কাদের, শওকত, পুতিয়া, পাগলির বিল সেতুর পাশে নুরুল কবির, মোঃ হোসেন প্রকাশ, বাবুল, আবদুল মান্নান, মিন্টুসহ তাদের লোকজন মহাসড়ক দখল করে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু সড়কের উপর মজুদ করে দিব্যি ব্যবসা করে আসছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, সরকারী বালু মহালের নির্ধারিত পয়েন্টগুলো মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার ভেতরে। কিন্তু কতিপয় ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক দখল করে উত্তোলনকৃত বালু মজুদ করছে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে। তিনি বলেন, খুটাখালী নতুন ইউপি ভবনের ফটক দখল করেও অনেকে বালু মজুদ করছে।
×