ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষান্তর : ফিরোজ আহমদ

পিএন হাকসার বাংলাদেশের সুহৃদ

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৯ মার্চ ২০১৫

পিএন হাকসার বাংলাদেশের সুহৃদ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর পাকিস্তানীদের একটি অন্যতম জরুরী সমস্যা ছিল অবিলম্বে ভারতের হেফাজতে থাকা প্রায় ৯০ হাজার পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং সেই দিনগুলোতে তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা পিএন হাকসার রাষ্ট্র পরিচালনা ও কূটনীতিতে অসামান্য দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ভারত সিমলা চুক্তিতে পরাজিত পাকিস্তানকে অসম্মান না করার ব্যাপারে সতর্ক ছিল। পরবর্তী সময়ে হাকসার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আজিজ আহমদের সঙ্গে যুদ্ধবন্দীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নিষ্পত্তি করতে আলাপ-আলোচনার আহ্বান জানান। আমি ঘটনাক্রমে পাকিস্তানী মন্ত্রীর রূঢ় ও অহঙ্কারী স্বভাবের কথা জানতে পারি, যিনি পাকিস্তানের বিপর্যয়ের পর নিশ্চয়ই বিশেষভাবে অপ্রসন্ন ও স্পর্শকাতর ছিলেন। আমি মধুর বিস্ময়ে দেখলাম পিএনএইচ একটি সন্তোষজনক চুক্তিতে পৌঁছে। রাওয়ালপিন্ডি ও দিল্লীতে আলোচনা শেষ করেছেনÑ আজিজ আহমদ ও তাঁর প্রতিনিধি দলকে কোনভাবে বিচলিত না করে। আমার এ ব্যাপারে কিছু আলোকচিত্র চোখে পড়েছে যেখানে আজিজ আহমদ ও পিএনএইচ খুবই উল্লসিত ও ভ্রাতৃপ্রতীম মেজাজে ধরা পড়েছেন। বিচক্ষণতা (উরংপৎবঃরড়হ) হলো একটি অন্যতম অপরিহার্য গুণ যা একজন কূটনৈতিকের অবশ্যই থাকা উচিত। পিএনএইচ পররাষ্ট্র দফতরে একজন পেশাদার কূটনৈতিক ছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি অন্যান্য দায়িত্বসহ কার্যত মন্ত্রীর পদমর্যাদায় উন্নীত হলেও কিছু বিশেষভাবে নাজুক কূটনৈতিক দায়িত্ব তাঁর ওপর ন্যস্ত থাকে। আজিজ আহমদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য একটি নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলীর প্রয়োজন ছিল যা সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। যাই হোক, ১৯৭৩-এর শরতে পিএনএইচকে বিদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনের দায়িত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয় যাতে প্রয়োজন ছিল বিচক্ষণতা, বিশ্বাসযোগ্যতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং সর্বোচ্চ মাত্রার কূটনৈতিক কুশলতা। পিএনএইচ সফলভাবে তাঁর মিশন সম্পন্ন করেছিলেন। কঠোর অনমনীয় মেজাজ ধারণ করা পরাজিত পাকিস্তানের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পিএনএইচের এই প্রশ্রয়ের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে থাকা বৈপরিত্যের তুলনা টানা বেশ চিত্তাকর্ষক যখন একবার তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে পশ্চিম পাকিস্তানের বর্তমান বাংলাদেশের প্রতি চালানো দমনপীড়নের ব্যাপকতা ও নির্মমতা স্রেফ বর্বরতাই নয় বরং তা ভারতের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতিও মারাত্মক হুমকির জন্ম দিয়েছে। মাও সে তুং এবং চৌ এন লাইয়ের বিপ্লবী চীন বাঙালীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক একনায়কত্বের নৃশংসতার অবিচল ছিল। প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও ভবিষ্যতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হেনরী কিসিঞ্জারের নেতৃত্বাধীন আমেরিকার পুঁজিবাদী গণতন্ত্র পাকিস্তানী একনায়কের প্রতি সহানুভূতিশীল পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা অব্যাহত রাখে। অন্যান্য প্রধান দেশগুলো ছিল উৎসুক পর্যবেক্ষক তবে তাঁরা হস্তক্ষেপ করার কোন যুক্তি খুঁজে পায়নি। কিছু মুসলিম দেশের তাদের মুসলিম বাঙালী নিপীড়িতদের চেয়ে হানাদার পশ্চিম পাকিস্তানীদের প্রতি বেশি সহানুভূতি ছিল। ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর অগণিত শরণার্থী তখনকার পূর্ব পাকিস্তান থেকে চলে এসেছিল এবং একটি জনবহুল, অস্থির নগরীর ওপর তারা যে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছিল কলকাতা কখনও তা সামলে উঠতে পারেনি। ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তান থেকে নতুন করে এই বিপুল শরণার্থীর চাপ ব্যাপক উদ্বেগ ও সেই সঙ্গে ক্ষোভের সঞ্চার করে। দেশের বিভিন্ন মহল থেকে অবিলম্বে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি ওঠে। আমার মনে পড়ে এমনকি জয়প্রকাশ নারায়ণ, যিনি ১৯৭১-এর সেই উত্তাল দিনগুলোতে প্যারিসে আমার অতিথি ছিলেন। আক্রমণ (পাকিস্তানে) চালানোর পক্ষে ছিলেন। দিল্লী থেকে প্রাপ্ত অসমর্থিত খবরে আভাস পাওয়া যায় যে এমনকি আমাদের কয়েকজন জেনারেল উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম জেনারেল (পরবর্তীকালে ফিল্ড মার্শাল) ম্যানেকশÑ কালবিলম্ব না করে পূর্ব পাকিস্তানে সেনা অভিযান করতে চেয়েছিলেন। একটি বলিষ্ঠ হস্তক্ষেপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর রাজনৈতিক চাপ বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তৎকালীন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ঠা-া মাথার উপদেষ্টাদের একটি ক্ষুদ্র নিবিড় দল ছিল যাদের মধ্যে আমি যতদূর জানি হাকসার ছিলেন বিশেষভাবে প্রভাবশালী। তাঁরা বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেছিলেন। পরাশক্তিগুলোর দিক থেকে চীন ছিল শত্রুভাবাপন্ন। নিক্সনের নেতৃত্বে আমেরিকাও ছিল অভিন্ন। যদিও কিসিঞ্জার আমাদের পররাষ্ট্র দফতরকে বিভ্রান্ত করার জন্য যথাসাধ্য প্রয়াস চালিয়েছেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ আমি জানতে পারি যে, ১৯৭১-এর জুলাইতে কিসিঞ্জার পররাষ্ট্র সচিব টিএন কলকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তিনি ইয়াহিয়া খানকে সমর্থন না দেয়ার জন্য নিক্সনের সঙ্গে কথা বলবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তান প্রান্তিক স্বার্থের দেশ। তিনি আরও বলেন, ভারত শুধু একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্রই নয়। বরং দেশটি এমন একটি শক্তিও বটে যে একা শুধু পাকিস্তানকেই নয়, চীনেরও মোকাবেলা করতে সক্ষম। এসব আকর্ষণীয় বিবৃতি যা চীনের সঙ্গে নিক্সনের কূটনৈতিক বিপ্লবের একটি প্রাককথন হিসেবে ভারতকে ধোঁকা দেয়া হয়েছিল। কিসিঞ্জারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তবে সেগুলো পিএনএইচ ও তাঁর সহকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধে চীন ও আমেরিকা বৈরী শিবিরে ছিল এবং ইউরোপীয় শক্তিগুলোর ভূমিকা ছিল পক্ষপাতহীন। যদিও তারা পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছিল। ১৯৭১-এর ১৪ জুলাই প্রেসিডেন্ট পম্পিডু পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আমাকে বলেন, ‘ফ্রান্স শান্তির পক্ষে’। আমি তাঁকে নম্রকণ্ঠে সরাসরি বললাম, ‘ফ্রান্স ন্যায়বিচারের পক্ষেও বটে’। তিনি দ্বিমত করেননি। সৃষ্টত পাকিস্তান বৈধতার আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিল এবং পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের কোন আক্রমণ আন্তর্জাতিক নিন্দা ডেকে আনত। এ ছাড়া শুকনো মৌসুম ছাড়া পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালালে অগ্রগতি থমকে যেত। এটা যখন ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে উঠছিল যে, ভারতকে শেষ পর্যন্ত শক্তি প্রয়োগ করতে হতে পারে। পিএনএইচ তখন অসময়ে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের চাপ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার পরিস্থিতিতে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে সুসংহত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। প্রথম কাজটি ছিল সোভিয়েট ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ (১৯৭১-এর আগস্টে ২০ বছর মেয়াদী মৈত্রী চুক্তি) শক্তিশালী করা এবং তারপর আসে পিএনএইচ ও টিএন কলকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপীয় দেশ ও ওয়াশিংটন সফর। নিক্সনকে বশে আনা যায়নি। তবে, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১-এর ডিসেম্বরে ভারত পূর্ব পাকিস্তান অভিযান চালালে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিকূল ছিল না। বলা যায়, এক্ষেত্রে পিএনএইচ একাধারে রুশো ও ক্লসউইজ (রাশিয়ান জেনারেল ও রণনীতিবিষয়ক লেখক) উভয়ের কথাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন। দ্বারকানাথ চ্যাটার্জীর হাকসার ও ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিবন্ধ থেকে। ‘তারপর ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযুদ্ধ এলো। এটা কোন গোপন বিষয় ছিল না। এই বিক্ষুব্ধ দিনগুলোতে হাকসার ও ডিপি ধর ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর দুই ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা। তবে তাঁদের তৎপরতা সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কোন ধরাণা ছিল না। ১৯৭১-এর ডিসেম্বরে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ বিভাগের আগের দিনগুলোতে আমাদের মধ্যে যাদের আদি বাসস্থান ছিল বাংলাদেশে। ১৯৭২-এর ফেব্রুয়ারি এক সকালে হাকসার আমাকে বললেন, মিসেস গান্ধী আমাকে বাংলাদেশে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে টাকায় পাঠাতে চান এবং আমাকে ৪ দিনের মধ্যে যাত্রা করতে হবে। ব্যক্তিগত কারণে কিছু প্রাথমিক দ্বিধা সত্ত্বেও আমি রাজি হই। এরপর শুরু হয় হাইকমিশনার হিসেবে আমার ও প্রধানমন্ত্রীর সচিব হিসেবে হাকসারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার একটি অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের উদারহস্তে সাহায্য প্রদানে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যে আনন্দোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল তা দ্রুত বিলীন হতে দেখতে আমাকে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হলো না। মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাদের সঙ্গে যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিলÑ তারা ভারতের অভিপ্রায় সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে সন্দেহ জাগিয়ে তুলছিল। সে সময় আরেকটি পরিবর্তন ঘটল। ডিপি ধরকে বাংলাদেশ বিষয়ে দেখাশোনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো এবং তাঁর জায়গায় আসলেন হাকসার। ধরের আড়ম্বরপূর্ণ চালচলন ঢাকার পরিবর্তিত পরিবেশে ভালভাবে নেয়া হয়নি। সিমলা চুক্তি সম্পাদনের পরপরই হাকসার ঢাকা সফর করেন। পরবর্তী ১৮ মাসের অনেক সফরের মধ্যে এটি ছিল প্রথম। যখনই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেন, হাইকমিশনার হিসেবে আমি তাঁর সঙ্গে থাকতাম। তিনি ছিলেন বাস্তববাদী অকপট ও বুঝিয়ে রাজি করাতে পারঙ্গম এবং কোন স্পর্শকাতর প্রশ্নে কাউকে দোষারোপ করতেন না। তিনি হয়ত অপর পক্ষকে সকল বিষয়ে বোঝাতে বা বিশ্বাস করাতে পারতেন না, তবে তাঁরা তাঁর আন্তরিকতাকে স্বীকার করতেন। আর তাঁর রসবোধ আলোচনার মাঝে সে উত্তেজনার জন্ম হতো তাকে প্রায়ই হালকা করে দিত। যে দুটি প্রশ্নে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিল সেগুলো হলো পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দীদের ও বিহারী উদ্বাস্তুদের ভবিষ্যত। বিহারীদের সংখ্যা ছিল কয়েক লাখ যাদের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল। নয়াদিল্লী ও ইসলামাবাদে দফায় দফায় এসব প্রশ্নে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। হাকসার সকল আলোচনায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। দিল্লীর সরকারে তাঁর কোন আনুষ্ঠানিক পদ না থাকলেও তিনি ওই আলোচনা চালিয়ে যান। তাঁর দায়িত্ব কোনভাবেই সহজ ছিল না। পাকিস্তান স্বীকৃতি না দেয়ায় বাংলাদেশ আলোচনায় অংশ নিত না এবং ভারতীয় প্রতিনিধি বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি অপরপক্ষের কাছে তুলে ধরতেন। তাই তাঁকে নয়াদিল্লী বা ইসলামাবাদে আলোচনা চলার সময় ঢাকার সরকারের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলতে হতো। ভাগ্যক্রমে সেই সঙ্কটকালীন সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন কামাল হোসেনÑ একজন উচ্চ শিক্ষিত ও ধীমান এ্যাডভোকেট যিনি বঙ্গবন্ধুর পূর্ণ আস্থাভাজন ছিলেন। যখনই কোন বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অপরপ্রান্ত থেকে হাকসারের কোন জরুরী বার্তা আমার কাছে আসত, দিনের যে কোন সময় সে সম্পর্কে আলোচনার জন্য কামাল হোসেনকে পাওয়া যেত। এসব আলোচনায় বাংলাদেশ একটি অনুপস্থিত পক্ষ হলেও দেশটির দৃষ্টিভঙ্গি ভালভাবে তুলে ধরা হতো। [সুবিমল দত্তের কূটনীতিক ও প্রশাসক নিবন্ধ থেকে]
×