ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটিশ মুসলিমদের চরমপন্থী হওয়া ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৯ মার্চ ২০১৫

ব্রিটিশ মুসলিমদের চরমপন্থী  হওয়া ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ

ইসলামী চরমপন্থার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের কাছ থেকে হুমকি বাড়তে থাকার পটভূমিতে ব্রিটিশ সরকার এদের দমন করতে বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ রকম একটি পরিকল্পনার কপি টেলিগ্রাফ পত্রিকা দেখতে পেয়েছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা নয়া সন্ত্রাস দমন পরিকল্পনার লক্ষ্য দেশটির শরিয়া কোর্ট। মুসলিম কমিউনিটির পারস্পরিক বিভিন্ন বিষয় মীমাংসার জন্য এই কোর্টগুলো কাজ করে থাকে। এছাড়া এর আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে উগ্রপন্থীরা যেন তরুণ জনগোষ্ঠীর চরমপন্থার দিকে আকৃষ্ট করতে না পারে সেদিকে নজরদারি বাড়ানো। এছাড়া অন্য পদক্ষেপের মধ্যে আছে চাকরি প্রার্থী যারা ভবিষ্যতের চরমপন্থার দিকে ঝুঁকতে পারে এ রকম সন্দেহভাজনদের ওপর নজরদারি করার জন্য জব সেন্টারগুলোতে অতিরিক্ত স্টাফ নিয়োগ দেয়া। ব্রিটেনকে অপছন্দ করে এরকম লোকজন সে দেশ থেকে আয় রোজগার করছে, এ বিষয়ে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হওয়ার পর সরকার এই পদক্ষেপ নিল। ব্রিটিশ মূল্যবোধ ও সমাজের সঙ্গে একাত্মকরণের ওপরও জোর দেয়া হয়েছে এই পরিকল্পনায়। এই উদ্দেশে ইংরেজী ভাষা ভাল করে শেখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তা করা না হলে সামাজিক সুবিধা কাটছাটের মতো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। জিহাদি জন নামে পরিচিত ২৬ বছর বয়সী ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মোহাম্মদ এম ওয়াজির জঙ্গী সংগঠন আইএসে যোগদান ও লন্ডনে বসে চরমপন্থার দীক্ষা গ্রহণের খবরটি প্রকাশ এবং জানুয়ারিতে প্যারিসে একটি পত্রিকা অফিসে আক্রমণ, এসব ঘটনার পর ব্রিটেনের কর্তৃপক্ষ চরমপন্থা প্রতিরোধে পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করল। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে’র উদ্যোগে তার মন্ত্রণালয় এটি প্রণয়ন করেছে। এর উদ্দেশ্য ব্রিটিশ মুসলিম বিশেষ করে তরুণদের ধর্মীয় চরমপন্থী হওয়া ঠেকানো। সানডে টাইমস পত্রিকাকে জানানো হয়েছে যে, সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের হয়ে যুদ্ধে যাওয়া ব্রিটিশ জিহাদীর সংখ্যা এখন ৭শ’ ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৩২০ জনের মতো দেশে ফিরে এসেছে। ব্রিটিশ সরকার এদের ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ এরা অন্যদের কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শে দীক্ষিত করে তুলতে পারে। টেলিগ্রাফ আরও জানতে পেরেছে মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের আগে বিদায়ী পার্লামেন্টেই বিলটি উত্থাপিত হবে। খুব দ্রুতই এর বাস্তবায়নের কাজও শুরু হবে।
×