ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রেমিটেন্স ফি এক শতাংশ করার পক্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৯ মার্চ ২০১৫

রেমিটেন্স ফি এক শতাংশ করার  পক্ষে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বজুড়ে রেমিটেন্স ফি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করার পক্ষে মত দিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন। জাতিসংঘের ‘গ্লোবাল ফান্ড ফর মাইগ্রেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী রেমিটেন্স ফি কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি। গত শনিবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় সোনালী ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী এক্সচেঞ্জের গ্রাহক সমাবেশে বক্তব্যে বাংলাদেশের এই অবস্থনের কথা জানান বৈশ্বিক ওই তহবিলের চেয়ারম্যান মোমেন। তিনি বলেন, গত বছর সারাবিশ্বে লেনদেন হওয়া রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৪৮০ বিলিয়ন ডলার, যা এ বছর বেড়ে ৬০০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন। অর্থাৎ উন্নয়নশীল বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নে রেমিটেন্সের প্রভাব অপরিহার্য হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। বাংলাদেশও এর সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশের বিদেশী মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স। ২০১২-১৩ সালে ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ (১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তা এক অর্থবছরে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স। এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হলেও রেমিটেন্স পাঠানোর ফি এখনও অনেক ক্ষেত্রেই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রেরিত অর্থের ওপর গড়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ফি নেয়া হচ্ছে কোথাও কোথাও। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ফি কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে এবং এই ফান্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ চাচ্ছে ফি ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে।’ মোমেন বলেন, ‘২০০৮ সালে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যখন নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছিল, তখন বাংলাদেশ স্বস্তির মধ্যে ছিল শুধু রেমিটেন্সের কারণে। বর্তমানে গ্রাম-গঞ্জেও অনলাইন সার্ভিসের প্রসার ঘটায় নিউইয়র্ক থেকে পাঠানো অর্থ মুহূর্তেই প্রত্যন্ত গ্রামের ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধ্যান-ধারণার সুফল এভাবেই পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।’ প্রতিষ্ঠার পর গত ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা সোনালী এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত, পরিচালক সেলিমা আহমেদ এবং নাজিম আহমেদ চৌধুরী এবং সোনালী এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন।
×