ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাফর ওয়াজেদ

৭ মার্চ কেন ক্যান্টনমেন্ট দখল হলো না

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৮ মার্চ ২০১৫

৭ মার্চ কেন ক্যান্টনমেন্ট দখল হলো না

(৭ মার্চ চতুরঙ্গ পাতার পর) মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এমন সেনা কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সময়ের বাস্তবতার ধারে কাছেও যাননি। দেশের পরিস্থিতি টের পাননি কী অবস্থায়। ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। একাত্তরে ছিলেন তিনি চুয়াডাঙ্গায়। যিনি ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর আম্রকাননে মুজিবনগর সরকার তথা বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজক। তাঁর গ্রন্থ ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ লিখেছেন তিনি- ‘ওইদিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন, এমন আশা অনেকেই করেছিলেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু উপস্থিত রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রকে সঙ্গে নিয়ে অগ্রসর হলে কয়েক শ’ বা কয়েক হাজার প্রাণের বিনিময়ে হলেও ঢাকা সেনানিবাস দখল করা অসম্ভব ছিল না। কিন্তু সেদিন নেতা আমাদের, তথা সব বাঙালীকে হতাশ করেছেন।’ এমন ভাষ্য অতি সরলীকরণ। একজন সেক্টর কমান্ডারের এমন মূল্যায়ন যথাযথ না হওয়ার কারণ ঢাকা থেকে বহু দূরে চুয়াডাঙ্গায় অবস্থানের জন্যও হতে পারে, তথ্য ঘাটতিও। তবে গ্রন্থটি তিনি ১৯৯১ সালের পরে লিখেছেন। এত পরে এসেও এমন সাধারণ বিশ্লেষণ ভাবায় বৈকি। বঙ্গবন্ধু প্রথমেই আক্রমণকারী হয়ে মানুষ হত্যার দায়িত্ব শুধু নয়, একটি দেশের নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলা করবেন নিরস্ত্র জনতাকে নিয়ে- যেন লাঠিয়াল বাহিনীর চরদখল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকের নলের মুখে এমন ধারণা থেকেই এই বিশ্লেষণ। কেমন ছিল একাত্তরের ৭ মার্চ সকালে ও বিকেলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পরিস্থিতি? সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী ছিল সকাল ও বিকালের অবস্থা। ‘সকাল ছিল নিস্তব্ধ পরিবেশ। অবাঙালী সামরিক অসামরিক অধিবাসীরা ছিলেন ভীত, সন্ত্রস্ত ও শঙ্কিত। সব বাড়িই ছিল রুদ্ধদ্বার।’ এমন বর্ণনা দিয়েছেন একাত্তরে নৌ কমান্ডোর উপ অধিনায়ক একদা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আহমদ রেজা তাঁর ‘একাত্তরের স্মৃতিচারণ’ গ্রন্থে। একই বর্ণনা দিয়েছেন পাকিস্তান বাহিনীতে একদা রেজার সিনিয়র বৈমানিক একে খন্দকার তাঁর বিতর্কিত গ্রন্থে। তাঁরা উভয়েই ক্যান্টনমেন্টেই থাকতেন। ৭ মার্চ হামলা হলে তারাও মারা পড়তেন। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনী থেকে পদত্যাগকারী আহমদ রেজা লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর পরই ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পরিস্থিতি বদলে যায়।’ এই বদলে যাওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন অনেকটা হতাশার ভঙ্গিতে। ‘সব বাড়ির দরজা-জানালা খোলা হলো। ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে এসে খেলাধুলা শুরু করল। ভীতসন্ত্রস্ত এক পরিবেশ যেন জাদুবলে হাসি-খুশিতে ভরে উঠল। পরে প্রতিবেশী এক পাঞ্জাবি কর্নেল সাহেব কথায় কথায় বলেছিলেন যে, সেদিন যদি স্বাধীনতা ঘোষণা করা হতো, আর লাখ লাখ বাঙালী শুধু বাঁশের লাঠি হাতে ঢুকে পড়ত ক্যান্টনমেন্টে, তাহলে তারা ক্যান্টমেন্ট দখল করে নিতে পারত। কারণ তখন সামরিক বাহিনীও সমন্বিত ও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে উঠতে পারেনি। উপরন্তু পুলিশ, ইপিআর ও সামরিক বাহিনীর বাঙালী সদস্যরাও বাঙালীদের সঙ্গেই যোগ দিত তখন। এ রকম পরিস্থিতিতে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণ ছাড়া কোন পথ খোলা ছিল না। পাকিস্তানী বাহিনীর আর কোন পথ থাকত কিনা জানি না।’ কত সহজভাবে বলে ফেলা যায়। পুলিশ ও ইপিআর যোগ দিত হয়ত। কিন্তু সামরিক বাহিনীর বাঙালী সদস্যরা তাদের চাকরির শৃঙ্খলা ও মায়া ছেড়ে আসতেন- এমনটা অকল্পনীয় ও অসম্ভব ছিল। যদি হতো, তবে ২৫ মার্চের পরও বাঙালী সেনাদের অনেকে পাকিস্তানীদের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করেছেন, অনেকে বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেমেছেন। তাঁরা যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি আগ্রহী হতেন, তবে ৭ মার্চ বিদ্রোহ করতেন, কিংবা ২৫ মার্চ রাতেই প্রতিরোধ গড়তেন। ৭ মার্চ আক্রমণ করার মতো পরিস্থিতি তখনো তৈরি হয়নি। জনগণও সংগঠিত হয়ে ওঠেনি। জনগণের নির্ধারিত একচ্ছত্র নেতা এভাবে হামলা করতে যাবেন একটি প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনীকে- এমন ভাবনা বাহিনীর লোকদেরই একান্ত মস্তিষ্কজাত। আহমদ রেজা সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট এখানে বিবেচনা করেননি। তাঁর গ্রন্থ থেকে নেয়া তথ্য একে খন্দকারও ব্যবহার করে বাস্তবতাবর্জিত বিশ্লেষণই করেছেন। আহমদ রেজা তদুপরি লিখেছেন, ‘৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কর্মসূচী ঘোষণা করলেন, কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন না। আর পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যেই ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে গতানুগতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচী দিলেন মাত্র। বাঙালীরা উন্মুখ ছিল যে, স্বাধীনতার ঘোষণা শুনবে আর অবাঙালীরা একই কারণে শঙ্কিত এবং তারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল এমন কিছুই ঘটল না ভেবে।’ এটাও তাঁর সামরিক চেতনাজাত স্থানীয় ভাবনা। যেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট দখল করা মানেই দেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়া। দেশ জাতি, বিশ্বপরিস্থিতি, ভূ-রাজনীতি এবং পাকিস্তানীদের মনোভাব কোন কিছুকেই সামনে রেখে মূল্যায়ন করা হয়নি আহমদ রেজার গ্রন্থে। সেটা ভাবনার প্রতিফলন মনে হতে পারে। আবু উসমান চৌধুরী ও আহমদ রেজার সীমাবদ্ধ ভাবনায় তাই দেখা যায়, স্রেফ ক্যান্টনমেন্ট দখল করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। দেশ স্বাধীন হয়ে যেত। কিন্তু আসলে কি তাই। বাস্তব অবস্থা এর ধারে কাছেও ছিল না। বাঙালী সেনারা বিদ্রোহে যোগ দিত। এমন নিশ্চয়তা ছিল না। থাকলে ৭ মার্চের ভাষণের পর তারা ক্যান্টনমেন্টে বিদ্রোহ করত। পাকিস্তানী সেনাদের নিরস্ত্র করে জনগণকে আহ্বান জানাত। একে খন্দকার তো টেরই পাননি ক্যান্টনমেন্টের বাইরে কী চলছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত সব বাঙালী সেনা না হোক অর্ধেকও তখন পরিস্থিতি টের পাননি। যদি পেতেন তবে ১ম ও ২য় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দুই বাঙালী অধিনায়ক ২৫ মার্চ আত্মসমর্পণ করতেন না। সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যেতেন না। এমনকি যশোর ক্যান্টনমেন্টে বাঙালী সেনারা অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়ে নিজেদের ঘাতকের হাতে তুলে দিতেন না। ৭ মার্চ ভাষণের একদিন আগের পরিস্থিতি কী ছিল দেশের, সে অবস্থাটা পর্যবেক্ষণের পর স্পষ্ট করে বলা সঙ্গত কি যে, ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ করা যুক্তিযুক্ত বা গ্রহণযোগ্য হতো? ১৯৭১ এর ৫ মার্চ পরিস্থিতি সম্পর্কে আহমদ রেজাই লিখেছেন, “পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক আইন প্রশাসক সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক এলাকা থেকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিলেন ৫ মার্চ। কিন্তু সেইদিনই টঙ্গীতে সকালবেলা নিরস্ত্র জনতার এক বিক্ষোভ সমাবেশের ওপর গুলি চালাল সামরিক বাহিনী। রাজশাহীতে গুলি চালাল মিছিলের ওপর। গুলি চালাল রংপুরে। ঢাকা শহরেও বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালাল পাকিস্তানী বাহিনী। হতাহতের সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু সংখ্যা যে খুব কম নয়। এমন অনুমান করা কী কঠিন? সমবেত জনতার ওপর সামরিক বাহিনী গুলি চালালে, সে গুলি তো লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার কথা নয়। ৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে হরতাল চলছিল। ৬ মার্চ ছিল হরতালের শেষ দিন। হরতালের কারণে ক্যাটনমেন্ট এলাকার কচুক্ষেতে কাঁচাবাজার না বসায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন একে খন্দকার তাঁর গ্রন্থে। তিনি হরতাল প্রসঙ্গ টানেন নি, জানা না থাকায়। হরতালের কারণে পণ্য সরবরাহ ছিল বন্ধ। ৬ মার্চ ঢাকা শহরজুড়ে শুধু মিছিল আর মিছিল। মোড়ে মোড়ে পথসভা। আহমদ রেজা লিখেছেন, ‘ক্যান্টনমেন্টের আবহাওয়া ছিল থমথমে। বহু অসামরিক অবাঙালী এসে আশ্রয় নিয়েছে ক্যান্টনমেন্টে নিজেদের শহরের বাসস্থান ছেড়ে। তারা যেন আতঙ্কিত। সশস্ত্রভাবে ঘোরাফেরা করছে তারা।’ ৭ মার্চ যদি হামলা করা হতো, তবে এই অসামরিকরাও মারা যেত। কিন্তু অস্ত্র থাকায় ঠিকই তারা প্রতিরোধও গড়ত। বিনা যুদ্ধে মারা যেত, তা নয়। স্মরণ করা যায়, ৬ মার্চ টিক্কাখান পূর্ব পাকিস্তানের গবর্নর। আঞ্চলিক প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। ভাইস এডমিরাল আহসানকে গবর্নর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। ‘বেলুচ কসাই’ খ্যাত টিক্কাকে পূর্ববঙ্গের সর্বোচ্চ সরকারী পদে নিয়োগ স্বভাবতই দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বাঙালীদের জন্য। একাত্তরে চুয়াডাঙ্গায় অবস্থানকারী মেজর আবু উসমান চৌধুরীর ক্ষোভটা তীব্র শেখ মুজিবের প্রতি, তিনি তাঁর গ্রন্থে উল্লেখও করেছেন, ‘ভাবতে বিস্ময় লাগে যে, পাকিস্তানী শাসক চক্রের গণহত্যার প্রস্তুতির বিশেষ সংবাদ অবগত হওয়ার পরও শেখ মুজিব শেষ দিন পর্যন্ত কেন সমঝোতার ব্যর্থ প্রয়াস চালালেন। মনে হয় সব বুঝেও উনি শেষ চেষ্টার ত্রুটি করেননি এই মনে করে যে, ভেবেছিলেন হয়ত শেষ পর্যন্ত ইয়াহিয়া-ভুট্টোর শুভবুদ্ধির উদয় হবেই। এই প্রত্যাশায়ই সম্ভবত তিনি শেষ দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে গিয়েছিলেন এবং কোন প্রকার প্রতিরোধের নির্দেশ দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু না। তাঁর নিদারুণ ভুল হলো। বলতে হবে চব্বিশ বছর রাজনীতি করেও তিনি পাকিস্তানীদের সেদিন পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে চিনতে পারেননি।’ বিস্ময়কর যে, শেখ মুজিব পাকিস্তানী উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করেই নিজের রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ’৬৬ সালে ৬ দফা দিয়ে জাতিকে টানা পাঁচ বছর ধরে ক্রমশ তৈরি করেছেন একাত্তরের ৭ মার্চের জন্য। যেখানে প্রতিরোধ গ্রহণের ডাক রয়েছে। স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের কথা রয়েছে। ৭ মার্চ ক্যান্টনমেন্টে কেন লাখ লাখ মানুষ হামলা চালায়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে- এর জবাব তো রয়েছেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল না কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। ভাষণে প্রাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা পাকিস্তান ভাঙার কোন দায় নেননি। বরং বাংলাদেশকে স্বাধীন করার এক পথ তৈরি করেন। বঙ্গবন্ধু আক্রমণকারী হলে স্বাধীনতার প্রশ্নে মানুষ দ্বিধাভিভক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিত। তাতে স্বাধীনতা লাভ নাও হতে পারত। ড. কামাল হোসেন তো বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দিলে সেখানে জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো কা- হতো। ৭ মার্চ সম্পর্কে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশে বলেছেন, ‘বাংলার মানুষকে আমি ডাক দিয়েছিলাম। ৭ মার্চ আমি তাঁদের প্রস্তুত করে দিয়েছিলাম। যখন দেখলাম আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে সেই মুহূর্তে আবার আমি ডাক দিয়েছিলাম আর নয় মোকাবেলা কর। বাংলার মাটি থেকে মানুষকে উৎখাত করতে হবে। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’ গ্রন্থকাররা রচনাকালে যদি বঙ্গবন্ধুর ব্যাখ্যার প্রতি শ্রদ্ধা রাখতেন, তবে এভাবে ভাবাবেগতাড়িত বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য প্রকাশে আগ্রহী হতেন, তা নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির অপপ্রচারের শিকার হয়ে এই সব অবান্তর বিষয় সামনে আনা হয়েছে পঁচাত্তরপরবর্তী সময় থেকেই। (সমাপ্ত)
×