ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীতি অমান্য করে আমদানি হচ্ছে পুরনো পিকচার টিউব

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৮ মার্চ ২০১৫

নীতি অমান্য করে আমদানি হচ্ছে পুরনো পিকচার টিউব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমদানি নীতি অনুসরণ না করে বিদেশ থেকে টেলিভিশনের পুরনো পিকচার টিউব আনা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় পুরনো পিকচার টিউব আমদানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে হঠাৎ করেই নিষিদ্ধ এসব টিউবের আমদানি বেড়ে গেছে। আমদানি ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, পিকচার টিউব ব্যবহৃত হয় শুধু সিআরটি (ক্যাথড রে টিউব) টেলিভিশন তৈরিতে। আগে বিভিন্ন দেশে এই পিকচার টিউব তৈরি হলেও বর্তমানে কেবল চীনের একটি প্রতিষ্ঠান টিজিডিসি এটি তৈরি করছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার আশায় স্বল্পমূল্যে পুরনো এবং ব্যবহৃত পিকচার টিউব আমদানি করছে। যদিও বাংলাদেশের আমদানি নীতি আদেশ ২০১২-১৫-এর অন্তর্ভুক্ত আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকার ফুটনোট (৪) এ পুরনো ও ব্যবহৃত পিকচার টিউব আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯-এর ১৫, ১৬ ও ৩২-ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ রয়েছে। একই আইনের ধারা ১৫৬(১)-এর ক্লজ ৯ অনুযায়ী এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পুরনো পিকচার টিউব হলো এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ। এসব দিয়ে তৈরি করা টেলিভিশন থেকে নির্গত গামা রশ্মি দেহ ও চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অন্যদিকে পুরনো পিকচার টিউবের অতিবেগুনি রশ্মি ওজন স্তরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু আমদানি নিষিদ্ধ থাকলেও আমদানি হচ্ছে পুরনো পিকচার টিউব। এতে করে স্থানীয় পর্যায়ে যারা টেলিভিশন সংযোজন ও উৎপাদন কারখানা গড়ে তুলেছেন তারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন। গত এক দশকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এবং প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে তানিন, নিপ্পন, প্যাসিফিক, ন্যাশনাল, এনইসি, নিক্কনসহ অনেক ব্র্যান্ডের টেলিভিশন প্রস্তুতকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠান। এদিকে, বন্দর ও কাস্টমসের তথ্যমতে, গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড়করণের জন্য ২০টি চালানের বিপরীতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট শুল্ক বিভাগে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আটটি চালান পুরনো ও ব্যবহৃত প্রমাণিত হওয়ায় নবেম্বর মাসে সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস দিয়েছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। পুরনো পিকচার টিউব ছাড়করণে সম্প্রতি শুল্ক কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির ফলে এলসি খোলার পরও তা বাতিল করেছেন অনেকে।
×