ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা লুটছে

টার্গেট ভূমি অফিস ॥ নাশকতার সুযোগে আগুন লাগাচ্ছে কারা?

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৮ মার্চ ২০১৫

টার্গেট ভূমি অফিস ॥ নাশকতার সুযোগে আগুন লাগাচ্ছে কারা?

বিভাষ বাড়ৈ ॥ বিএনপি-জামায়াত জোটের দুই মাস ধরে চালানো নাশকতার সুযোগে দেশের বেশ কিছু স্থানে ফায়দা লুটছে স্বার্থান্বে^ষী মহল। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরকারী ভূমি অফিস, শিক্ষা এমনকি মৎস্য অফিসেও অগ্নিসংযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুুড়িয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করছে এরা। হরতাল অবরোধে কয়েকটি এলাকায় সরকারী ভূমি অফিসে বিএনপি-জামায়াত জোটের ক্যাডাররা নাশকতা চালালেও একই সঙ্গে কয়েক স্থানে ব্যক্তিগত ফায়দার আসাতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটছে সরকারী অফিসে থাকা ভূমি সংক্রান্ত মামলার কাগজপত্র পোড়ানোর মতো ঘটনাও। একাধিক স্থানে বিএনপি-জামায়াত জোটের ঝটিকা মিছিল থেকেও ভূমি অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপি জোটের নাশকতাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে স্বার্থান্বেষী মহল। তৃতীয় পক্ষের তৎপরতা সন্দেহ করা হলেও এখনও তা তদন্তের পর্যায়েই আছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের দুই মাস ধরে চলা নাশকতার মধ্যে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরকারী কার্যালয় বিশেষত ভূমি অফিসে অন্তত ১৫টি নাশকতার ঘটনা ঘটে। কার্যালয়ের বাইরে বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটলেও অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে অনেক ক্ষেত্রে আগুন দেয়া হয়েছে কাগজপত্রে। কয়েকটি এলাকায় মিছিল মিটিং ছাড়াও রাতে সরকারী অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। রাজশাহীতে সরকারী অফিসে আগুন দেয়ার অন্তত তিনটি ঘটনা ঘটিয়েছে অপরাধীরা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধে নাশকতার মধ্যে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় সরকারী দুটি কার্যালয়ে আগুনে পুড়েছে নথিপত্র। ওদিন ভোরে একই ভবনে পাশাপাশি অবস্থিত উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে আগুন দেয় হয়। এই আগুন লাগানো হয়েছে বলে বাঘার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র হালদার ঘটনার পরপরই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। আগুনে ভূমি কার্যালয়ের রেকর্ড কক্ষের মূল্যবান কাগজপত্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের দুটি মোটরসাইকেলসহ সংরক্ষিত বইপত্র পুড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইউএনও বাদল হালদার ওইদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জানালা ভেঙ্গে দুর্বৃত্তরা ভেতরে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে ভূমি কার্যালয়ের রেকর্ড রুমে নিষ্পত্তিকৃত বেশকিছু নথি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের বিতরণের পরে বেঁচে যাওয়া প্রায় ৫০০ বই পুড়ে গেছে। একই ভবনে অবস্থিত উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নৈশপ্রহরী আব্দুল মান্নান বলেন, ভোরের দিকে বিকট শব্দ শুনে ভূমি কার্যালয়ের কাছে গিয়ে আগুন দেখতে পান। তালাবদ্ধ কক্ষের ভেতরে আগুন ধরে দরজা, জানালাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যাচ্ছে দেখে আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাঘা থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষের বাইরে তালা লাগানো ছিল। এছাড়াও কক্ষটি প্রাচীর বেষ্টিত। এ থেকে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট, কিংবা সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকা- ঘটতে পারে। আবার দুর্বৃত্তরাও জানালা ভেঙ্গে অগ্নিসংযোগ করতে পারে বলে সন্দেহ তার। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভূমি কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী জামাত আলী, অফিস সহকারী গোলাম রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবুল কাশেম ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নৈশপ্রহরী আব্দুল মান্নানকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এর চারদিন আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়েও আগুন দেয়া হয় হরতাল অবরোধের মধ্যে। ভোরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে অপরাধীরা। এতে জানালার পর্দা, তিনটি চেয়ার ও কিছু নথিপত্রের উপরের মলাটের অংশবিশেষ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় চারঘাট থানায় একটি মামলাও করা হয়েছে। নৈশপ্রহরী মামুনুর রশিদ জানান, তিনি ও তার সহকর্মী সরপ উদ্দিন রাতে এই কার্যালয় পাহারায় ছিলেন। ভোর ৫টার দিকে শব্দ শুনে তারা শব্দের উৎস খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে সার্ভেয়ারের কক্ষ থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পেয়ে তারা কক্ষটি খুলে দেখেন জানালা ভেঙ্গে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগানো হয়েছে। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পানি ও বালি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শাহরিয়ার ফিরোজ জনকণ্ঠকে বলছিলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হরতাল অবরোধকারীরা নাকি কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এসব করছে তা তদন্তে বোঝা যাবে। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর বলছিলেন, কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এসব করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা আন্দোলনকারীরাও হতে পারে আবার কেই নিজের স্বার্থেও করতে পারে। তদন্তে অবশ্যই বের হবে। তবে অফিসের এ এলাকাটি যেভাবে নিরাপত্তার মাঝে থাকে তাতে বাইরে থেকে এখানে আন্দোলনকারীদের এসে আগুন দেয়া কঠিন। এই ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনার মধ্যেই শনিবার ভোরে বাঘা উপজেলায় অগ্নিকা-ে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ১২ ভোল্টের ৪৮ ব্যাটারি ও পরিত্যক্ত এনালক সিবি বোর্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। অপরাধীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অগ্নিকা-ের পর থেকে টেলিফোন সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রহমান জানান, অগ্নিকা-ের সময় অফিসের বাইরের গেটে তালা লাগানো ছিল। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট কিংবা দুর্বৃত্তদের দেয়া অগ্নিকা-ের ধারণা নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক্সচেঞ্জের নাইটগার্ড সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার রাতে সে অফিসে ছিল না। রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে সঠিক তথ্য উদ্ঘটনসহ দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি। ২৪ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরে মৎস্য অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলেকুজ্জামান জানান, আগুনে তার কার্যালয়ের দুটি কক্ষের কাগজপত্র, চেয়ার-টেবিল ও আলমারি পুড়ে গেছে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, আগুন লাগানোর পর দ্বিতীয় তলায় থাকা অফিসকর্মী ও নৈশপ্রহরীরা নিভিয়ে ফেললেও ততক্ষণে বেশকিছু নথি ও আসাবাবপত্র পুড়ে যায়। সকালে অফিসের ভেতর থেকে একটি ককটেল ও পেট্রোলের খালি বোতল পাওয়া যায়। নোয়াখালীতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের দেয়া হয়েছে আগুন। এতে স্টোরে রাখা জরুরী কাগজপত্র পুড়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আলম নামে এক অফিসকর্মী আহত হন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ন কবির জানান, রাত ৯টার দিকে অফিসে মধ্যে শব্দ পেয়ে স্টোর রুমে আগুন দেখতে পান। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলবাহিনী এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মাহবুব আলম জানান, অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষের মধ্যে কেরোসিনের একটি বোতল পেয়েছেন তারা। অপরাধীরা কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় বলে ধারণা করছেন এই কর্মকর্তা। ২৫ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় স্থানীয় ভূমি অফিসে সন্ত্রাসীদের দেয়া আগুনে ১০ হাজার জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। ভোরের দিকে রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা ভূমি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। নাশকতায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হক মাবুকে আটক করেছে পুলিশ। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোরের দিকে ফেনী-শুভপুর সড়কে রাধানগর/পৌর ভূমি অফিসের টিন শেড ঘরের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। এতে রাধানগর ইউনিয়ন ও ছাগলনাইয়া পৌরসভার প্রায় ১০ হাজার জমির দলিলপত্র, সিন্দুক, আলমারি, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এসে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয়রা জানান, ওই ভূমি অফিসের পাশেই রবিউলের বাড়ি। আগুন লাগার পর তাকে সেখানে দেখে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজনীতির বাইরেও বিএনপি নেতাদের ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য আছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে এর দু’দিন আগেই। রাত সোয়া ৯টার দিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, রাত ৯টার পরে ১০/১৫ যুবক এসে পেট্রোল ঢেলে ওই অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। টাঙ্গাইলের সদর থানা পুলিশ বলছে, আগুন কে দিয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে দেখবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের লোহাগড়া কোটাকোল ইউনিয়নে ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, রাতে লোহাগড়ার ভূমি অফিসে হঠাৎ আগুন দেখে আশপাশের লোকজন তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পূর্বেই অফিসের ভেতর থাকা কিছু ফাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফার রহমান জানান, খবর শুনে আমরা রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে বেশি ক্ষতি হয়নি। জানালা ভেঙ্গে কেউ ভেতরে আগুন দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাটোরে ভূমি অফিসও ভয়াবহ আগুনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে গেছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলা সদর উপজেলা ভূমি অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে একটি কক্ষের মূল্যবান নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাত পৌনে ১০টার দিকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের মহারাজা রোডের বাসাবাড়ি মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত ভূমি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সাধারণ মানুষ বলছেন, জমি দখল করতেই সরকারের কাছে থাকা দরকারি কাগজপত্র পুড়িয়েছে একটি চক্র। এর সঙ্গে বিএনপির এক নেতা আছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ভূমি অফিসে মধ্যরাতে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে অপরাধীরা। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরোয়ার জাহান জানায়, দুষ্কৃতিকারীরা অফিসের দক্ষিণ পাশের জানালায় রাস্তার ধারে রাতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। ওসি হাসমী জানায়, ঘটনাস্থলে ৩টি ককটেল বেশ কয়েকটি নেশাজাতীয় পানীয় বোতল উদ্ধার করা হয়। এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্তে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে একটি কেন্দ্রে আগুন দেয় একটি গ্রুপ। রায়গঞ্জ থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, ধানগড়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে আগুনে ১৪১টি উত্তরপত্র ও বেশকিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। কেন্দ্র সচিবের অফিসকক্ষের একটি জানালা ভেঙ্গে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। পরীক্ষা বিষয়ক কোন বিষয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন একটি চক্র এ কাজ করেছে বলে বলছেন শিক্ষকরাই। ২২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার দেওখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ও গফরগাঁওয়ের ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন দেয়া হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের একটি কক্ষের মূল্যবান নথিপত্র পুড়ে গেছে। তবে ভূমি অফিসের তেমন ক্ষতি হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেলোয়ার হোসেন জানান, আগুনে ৪০ দিনের কর্মসূচী, টিআর, কাবিখা, এলজিএসপিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। জেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ঘটনা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা করেছে বলে জানা গেছে। তবে এর উদ্দেশ্য ব্যক্তিগত। তদন্ত হচ্ছে পুরো ঘটনার। ১৪ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড (ভূমি) অফিসে আগুন দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে শহরের ঝিলটুলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অফিসে স্টিলের আলমারির উপরে থাকা কিছু কাগজপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায়ও বিএনপি-জামায়াত নেতাদের মদদে হয়েছে বলে বলছেন কর্মকর্তারা। তবে নেতাদের মদদে এলাকার কয়েক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই ব্যক্তিদের জমি বিষয়ক মামলার কাগজপত্র অফিসে ছিল। মামলায় অপরপক্ষের জিতে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেই এ কাজ করেছে অপরাধীরা।
×