ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঐতিহাসিক স্থানটি চিহ্নিত হয়নি আজও;###;৫ বছর আগে উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় স্থানটি শনাক্ত করতে;###;স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও জায়গাটি সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেই

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণস্থল সংরক্ষণ ॥ কোর্টের রায় উপেক্ষিত

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৭ মার্চ ২০১৫

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণস্থল সংরক্ষণ ॥ কোর্টের রায় উপেক্ষিত

আনোয়ার রোজেন ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন তাঁর বিখ্যাত ‘গেটিসবার্গ ভাষণ’ দিয়েছিলেন ১৮৬৩ সালে। গৃহযুদ্ধ অবসানের পর সেই ভাষণটিই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পায় অনন্য মর্যাদা। পরবর্তীতে পেনসিলভিনিয়ার গেটিসবার্গে প্রেসিডেন্ট লিংকনের দাঁড়িয়ে ভাষণ দেয়ার সেই স্থানটি চিহ্নিত করে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে সংরক্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্র। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় গেটিসবার্গ ভাষণের সঙ্গেই উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘৭ মার্চের ভাষণ’। দেড় শ’ বছর ধরে গেটিসবার্গের ভাষণস্থল সংরক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যে স্থানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও সেই জায়গাটি সংরক্ষণ করা তো দূরের কথা, যথাযথভাবে চিহ্নিত পর্যন্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। স্বাধীনতা সংগ্রামের বহু স্মৃতিবিজড়িত জাতীয় এই উদ্যানের দেখভালেও মন নেই কর্তৃপক্ষের। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন তা অনেকেরই অজানা। উদ্যানে গিয়েও জায়গাটি খুঁজে পাওয়ার কোন উপায় নেই। কারণ সেই নির্দিষ্ট স্থানটির কোন স্মারক বা চিহ্ন নেই। অথচ ওই জায়গাটিসহ উদ্যানের মোট ৭টি ঐতিহাসিক স্থান চিহ্নিত ও সংরক্ষণ করতে সরকারকে ৫ বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালের ২৫ জুন উচ্চ আদালতে রিট করেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। ওই বছরের ৮ জুলাই বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদের আদালত এ বিষয়ে রায় দেন এবং ২০১০ সালের জুলাই মাসে লিখিত রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে ৭টি স্থান সংরক্ষণের আদেশ দেয়া হয় সেগুলো হচ্ছে- ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণের স্থান, একই বছরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থান, পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরের স্থান, পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থান, একই বছর ১৭ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণের স্থান, ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হওয়ার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি যে স্থানটিতে কারামুক্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয়েছিল এবং ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম গবর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ভাষণের স্থান। সংবিধানের ২৩ ও ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য দেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত এসব অবিস্মরণীয় ঘটনার স্মৃতি ধরে রাখা এবং স্থানগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা এ জাতির আইনগত ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। আদালত বলেন, যদি কেউ বাঙালী হয়ে থাকেন, তাহলে ওইসব স্থানে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রাণ রোমাঞ্চিত হয়ে উঠবে। তবে সরেজমিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও আদালতের ওই রায়ের বাস্তবায়ন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আদালত নির্দেশিত ৭টি স্থান চিহ্নিত করার কথা বললেও উদ্যানে তার কোন চিহ্ন বা স্মারক পাওয়া যায়নি। বঙ্গবন্ধু ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন তা বোঝার উপায় নেই। তবে শিখা চিরন্তনের উত্তর পাশে শিশু পার্কের সীমানার কাছাকাছি একটি জরাজীর্ণ স্তম্ভ দেখা যায়। তাতে লেখা আছে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ডাক, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ওই স্তম্ভটিও পড়ে আছে অযতেœ-অবহেলায়। শেওলা পড়ে গেছে, লেখাও অনেকটা মুছে গেছে। এর পশ্চিমে আরেকটি ছোট স্তম্ভ আছে। কিন্তু তাতে কী লেখা আছে, তা এখন উদ্ধার করা দুরূহ। এছাড়া শিখা চিরন্তনের অদূরে ‘বিজয় স্তম্ভ’ নামে আরেকটি স্তম্ভ আছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ১৯৯৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শুধু ওই ভিত্তিপ্রস্তরটিই আছে। আদালত নির্দেশিত অন্য ঐতিহাসিক স্থানগুলোরও কোন চিহ্ন উদ্যানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আদালতের রায়ে এসব স্থান চিহ্নিতকরণ ও সংরক্ষণার্থে স্থাপনা নির্মাণের জন্য রাজনীতিক, ইতিহাসবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ওই কমিটির অন্যতম সদস্য ও স্থান সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনকারীদের একজন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। জনকণ্ঠের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুনতাসীর মামুন বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটি স্পষ্টতই আদালত অবমাননা। গোটা জাতির জন্যও লজ্জাজনক। রায় অনুযায়ী স্থান চিহ্নিত করে সংরক্ষণ তো দূরের কথা, গোটা উদ্যানকে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। শুনেছি, ওইখানে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিচ্ছন্নতা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। তবে এ কাজে তাদের অবহেলা ও উদাসীনতার ছাপও স্পষ্ট। বিশেষ করে উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ৬৭ একর আয়তনের জাতীয় এই উদ্যানের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন মাত্র ৪ জন আনসার। সন্ধ্যার পরে উদ্যানের ভেতর প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। উদ্যানে প্রবেশের পথ আছে ৬টি। কিন্তু প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা নেই। তাই অপরাধীরা নির্বিঘেœ ঢুকতে ও বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন উদ্যানের প্রবেশপথের সামনেই বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা ও খোদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, হামলাকারীরা ধারাল এসব অস্ত্রসহ উদ্যানের ভেতরেই অবস্থান করছিল। ওই প্রবেশপথ দিয়েই বেরিয়ে ব্লগার অভিজিৎ ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার পর নির্বিঘেœ পালিয়েও যায় তারা। তবে শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নয়, উদ্যানের সার্বিক ব্যবস্থাপনার চিত্রও হতাশাজনক। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, শিখা চিরন্তনের কাছে গণপূর্ত অধিদফতরের কন্ট্রোলরুমের দেয়াল সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় রান্নার আয়োজন করে রীতিমতো সংসার করছে কয়েকটি ছিন্নমূল পরিবার। পাশেই একটু পর পর দূরত্বে বসেছে গাঁজাখোরদের আসর। আরেক অংশে নারিকেল গাছে বেঁধে নিশ্চিন্ত মনে ছাগলের পরিচর্যা করছেন আমেনা খাতুন নামের এক নারী। উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া উদ্যানজুড়ে পলিথিন, চিপসের প্যাকেটসহ নানা ধরনের আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ সংলগ্ন লেকের পানিতেও ভাসছে ময়লা-আবর্জনা। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ডাক’ এবং ‘বিজয় স্তম্ভের’ চারদিকের বিশাল এলাকা যেন আবর্জনার ভাগাড়। অপরিচ্ছন্নতার এই চিত্র সারা বছরের বলে জানিয়েছেন উদ্যানেরই কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ বাদাম ও চা বিক্রেতা। স্থানে স্থানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠেছে খাবার ও নাস্তার দোকান। উদ্যানের শিশুপার্ক সংলগ্ন সীমানার কাছে, স্বাধীনতা স্তম্ভের উত্তর পাশসহ একাধিক স্থানে জোয়ার আসর বসতে দেখা গেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বহু স্মৃতি বিজড়িত এই উদ্যানের অবমাননা দেখারও যেন কেউ নেই! এ বিষয়ে জানতে চাইলে উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক ও গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, উদ্যানের তত্ত্বাবধানের জন্য কোন স্থায়ী জনবল নেই। সর্বক্ষণিক নিরপত্তার জন্য কমপক্ষে ৮০ জন আনসার প্রয়োজন। কিন্তু আছে মাত্র ১২ জন। আর গোটা উদ্যান পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজন ৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। বর্তমানে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নেয়া ৬ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কেবল ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ ও ‘শিখা চিরন্তন’ সংলগ্ন স্থান পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করছে। অপরিচ্ছন্নতার জন্য উদ্যানে আগত ব্যক্তিদের মানসিকতাকেও দায়ী করেন তিনি। আর উদ্যানে ঘাঁটি গাঁড়া পরিবারগুলোকে সরিয়ে দেয়া ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হলেও তা খুব বেশিদিন কার্যকর হয় না বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, রেকর্ডপত্র ও দলিল অনুযায়ী ৭ মার্চের ভাষণস্থল উদ্যানের ভেতরে পড়েনি, এটি শিশুপার্কের সীমানার ভেতরে পড়েছে। কিন্তু ‘স্বাধীনতার ডাক’ নামে ৭ মার্চের স্তম্ভটি কেন উদ্যানের ভেতর বসানো হয়েছে- এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ পরবর্তী সরকারগুলো নেয়নি। উল্টো গাছপালা লাগিয়ে উদ্যানটিকে স্রেফ বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করা হয়। এর অংশ হিসেবে ১৯৭৯ সালে উদ্যানের ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ১৫ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় শিশুপার্ক। পরবর্তীকালে রাজনীতিসহ নানা ডামাডোলের কারণে পার্কের ভেতরে ঐতিহাসিক স্থান থাকার বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঐতিহাসিক এসব স্থানে গাম্ভীর্যপূর্ণ স্থাপনা ও স্তম্ভ নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জনকণ্ঠকে বলেন, সরকার আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় ৭ মার্চের ভাষণের স্থান এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে নানা জটিলতার কারণে প্রস্তাবিত স্মারক বা চিহ্ন বসানো যায়নি। ৭ মার্চের ভাষণস্থল, হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ স্থল ও ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণস্থল পড়েছে শিশুপার্কের ভেতরে। শিশুপার্কটি পিছিয়ে নেয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ তিনটি স্থানসহ উদ্যানের ভেতরে থাকা সব ঐতিহাসিক স্থানে প্রতীকী স্থাপনা ও স্তম্ভের নক্সাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ৪ মাসের মধ্যে এগুলোর নিমার্ণ কাজ শুরু হবে।
×