ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

-বাপ্পারাজ

গতানুগতিক ধারার বাইরের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৭ মার্চ ২০১৫

গতানুগতিক ধারার বাইরের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি

দর্শক নন্দিত চলচ্চিত্র অভিনেতা বাপ্পারাজের প্রথম পরিচয় হচ্ছে তিনি দুই বাংলার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রখ্যাত অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের জ্যেষ্ঠ সন্তান। সম্প্রতি ‘কার্তুজ’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালকের খাতায় নাম লেখিয়েছেন। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্যও করেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার দেশের ষাটটিরও অধিক হলে মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। নিজের পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয় । ‘কার্তুজ’ চলচ্চিত্র সম্পর্কে বলুন... বাপ্পারাজ : গতকাল শুক্রবার সারা দেশে আমার ‘কাতুজ’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। এ চলচ্চিত্রের বিশেষত্ব হচ্ছে ‘বাঁচাও বাঁচাও, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা, ছেড়ে দে শয়তান, আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না, তুমি আমাকে মারতে পারলে’ এই ধরনের সংলাপ আমার চলচ্চিত্রে নেই। আর কেন নেই তাই আমার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্রটি হলে গিয়ে দর্শকের দেখা উচিত। কারণ গতানুগতিক ধারার বাইরে এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণের চেষ্টা করেছি। এর কাহিনী বিন্যাস ও সংলাপ রচনা করেছেন ছকটু আহমেদ। রাজলক্ষ্মী টেলিফিল্মস প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির প্রধান চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সম্রাট, নিপুণ, সোহান খান ও ফারজানা রিক্তা। এই চলচ্চিত্রেই সর্বশেষ অভিনয় করেছেন বরেণ্য প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে চাষী নজরুলকে। পাশাপাশি নতুন খল অভিনেতা হিসেবে শিমুল খানকেও নতুন গেটআপে দেখবে দর্শক। আপনার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে, অনুভূতি কেমন? বাপ্পারাজ : আমি যেহেতু ফিল্ম থেকেই এসেিেছ, কাজেই চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে একই অনুভূতি কাজ করছে। মনন ও মেধা থাকলে চলচ্চিত্র বানানো তেমন কঠিন কিছু নয়। আমার তো মনে হয়, অভিনয় এর চেয়ে কঠিন। আপনার চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্য কি? বাপ্পারাজ : আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে, গতানুগতিক চলচ্চিত্র ধারা থেকে বেরিয়ে এসে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছি। আমার চলচ্চিত্রের গল্প সাধারণ, কিন্তু উপস্থাপনাটার মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য। চেষ্টা করেছি ভিন্ন রকমের কিছু তৈরি করতে, বাকিটা দর্শক বলতে পারবে। দেশের বর্তমানের চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার বক্তব্য কি? বাপ্পারাজ : এখানে বক্তব্যের তেমন কিছুই নেই। তবে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যারা চলচ্চিত্র বানাচ্ছেন তারা ডিজিটালের নামে টেলিফিল্ম বানিয়েই দায় সারছেন, কাজেই কমে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের মান। চলচ্চিত্রে ৩০ বছর সময় পার করেছেন। মৌলিক অভিজ্ঞতা কি অর্জন করলেন? বাপ্পারাজ : মৌলিক অভিজ্ঞতা বলতে গত ৩০ বছর অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র তৈরির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে নিজের মধ্যে রপ্ত করেছি। চাইলে আরও অনেক আগেই পরিচালকের নাম খাতায় লেখাতে পারতাম কিন্তু সাহস হয়নি। আব্বারও সম্মতি পাইনি। চলচ্চিত্র জগতটি বাইরের মানুষের কাছে বিনোদন জগত বলে মনে হলেও কিন্তু আমার কাছে এই জগত প্রশিক্ষণশালা মনে হয়। কারণ এই জগতে বিনোদন দেয়ার চেয়ে শিক্ষা অর্জনের একটি বড় প্লাটফরম। সুতরাং গত ৩০ বছর অভিনয় ও কাজের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করেছি। এ জগতকে আমি সম্মানের সঙ্গে শ্রদ্ধা করি এবং করে যাব। দর্শকদের মধ্যে চলচ্চিত্র দেখার প্রবণতা কমে যাওয়ার কারণ কি? বাপ্পারাজ : এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলা চলচ্চিত্রের সেই সোনালি অধ্যায় এখন আর নেই। ভিডিও পাইরেসি, মেধা ও রুচিহীন পরিচালকের অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে রীতিমত গত ১৫ বছর যাবত বাংলা চলচ্চিত্র দেখার প্রতি দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তবে এ ধারা এখন কিছুটা বিলুপ্তি হতে চলেছে। এখন চলচ্চিত্রের নবীন-প্রবীণরা বিভিন্ন হাউস থেকে সহযোগিতা নিয়ে ভাল মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। অবশ্যই এটা ইতিবাচক। আপনার আগামী কাজ সম্পর্কে বলুন... বাপ্পারাজ : আমার পরবর্তী চলচ্চিত্রের নাম ‘তারছেঁড়া’। ভিন্নধর্মী এই গল্পেই প্রথমবারের মতো খল-নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করবেন দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস। -গৌতম পা-ে
×