ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ঘটনা নৈমিত্তিক ব্যাপার

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাতে পদ্মায় চলছে সিবোট

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ৭ মার্চ ২০১৫

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাতে পদ্মায় চলছে সিবোট

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও শিমুলিয়া (মাওয়া)-কাওড়াকান্দি ও মাঝিকান্দি নৌ-রুটে পদ্মায় রাতের বেলায় আবারও চলছে অবৈধ সিবোট বাণিজ্য। বার বার রাতে সিবোটে দুর্ঘটনা ঘটলেও এখানে তা দেখার কেউ নেই। যাত্রীদের জীবনের থেকে অবৈধ অর্থ উপার্জনই এখানে বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, সূর্যাস্ত হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত এ নৌ রুটের পদ্মায় সিবোট চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এ আইনকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণীর অসাধু সিবোট চালকরা রাতে যাত্রীবাহী সিবোট পারাপার করছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় অসাধু কিছু সিবোট মালিক ও চালক নির্ধারিত ১৫০ টাকার পরিবর্তে রাতে জন প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে ভাড়া নিয়ে সিবোট চলাচল করছে। এ রুটের পদ্মায় সিবোট দুর্ঘটনায় কতজন লোক নিখোঁজ বা হতাহত হয়েছে এর সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও প্রায়ই ঘটছে সিবোট দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে সরেজমিনে সিবোট ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সিবোট কাউন্টার বন্ধ। ঘাট পরিচালনা কমিটির কোন লোকজনই নেই। কাউন্টারের সামনে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দুজন কনেস্টবল দাঁড়ানো। এ ঘাট থেকে তাদের পাশ দিয়ে কোন সিবোট ছেড়ে যাচ্ছে না বরং তারা যাত্রীদের ফিরিয়ে দিয়ে লঞ্চে অথবা ফেরিতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। কিন্তু লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। লঞ্চ ও ১নং ফেরি ঘাটের মাঝের স্থান দিয়ে যাত্রী বোঝাই করে দেদারছে সিবোট যাচ্ছে। সেখানে পুলিশের একজন কনেস্টবল দাঁড়ানো। তিনি দাঁড়িয়ে সিবোট গুনছে। সিবোট গুনার রহস্য সম্পর্কে জানা গেল, প্রতি সিবোট থেকে ৩০০ টাকা করে নিয়ে চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে পুলিশ। এ ব্যাপারে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য আইসি এসআই ইউনুছ আলীর কাছে ফোন দেয়া হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘাটে এসে সিবোট চলাচল বন্ধ করে দেন।
×