দেশে এখন চলছে জ্বালাও পোড়াও আর নাশকতা। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পেট্রোলবোমায় পুড়ে মরেছে প্রায় ১০০ জন, বার্ন ইউনিটে আর্তনাদ করছে আরও অনেকে। অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে পড়াশোনা ও পরীক্ষা নিয়ে দারুণ অনিশ্চয়তায়। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় মানুষ যখন অবরোধ আর হরতালের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানাচ্ছে তখন এই পেট্রোলবোমা মেরে তাদের হরতালে বাধ্য করা হচ্ছে। বিষয়টি কোন গণতান্ত্রীক রীতি-নীতির মধ্যে পড়ে না। সম্প্রতি বিকল্পধারার প্রধান বি. চৌধুরী বলেছেন, দুই নেত্রীকে অবশ্যই আলোচনায় বসতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ‘আপনি ৫৭ জন (বিডিআর কর্মকর্তা) হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে ঘরে বসে কথা বলেছেন। তাহলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কেন বসতে পারবেন না। বি. চৌধুরী হয়তো এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন এই বিষয়টিÑ যে বিডিআর হত্যাকারীদের সঙ্গে বসলেও শেষ পর্যন্ত এই হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে। তাই বি. চৌধুরীর এখন উচিত যদি দুই নেত্রী তাঁর আহ্বানে বসেন, তারপর আন্দোলনের নামে নাশকতার বিচার করে তবেই নির্বাচনের তারিখ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া। তা না হলে দেশে পুড়িয়ে মারার বিষয়টি বৈধ হয়ে যাবে। মানুষ সন্ত্রাসীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে। আইজিপি শহিদুল হক বলেছেন, যদি সন্ত্রাসের কাছে আত্মসমর্পণ করা হয়, তাহলে দেশ পাকিস্তানের মতো অকার্যকর রাষ্ট্র হয়ে যাবে। বি. চৌধুরী আপনি কি চান এদেশে জঙ্গীবাদ প্রতিষ্ঠা পাক? আপনিই বরং সন্ত্রাসীদের মতো বলপ্রয়োগ ও মানুষ মারা গণতন্ত্র পরিহার করার কথা বলুন ২০-দলীয় জোটকে। তাহলে সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরবে। এতেই সবার মঙ্গল।
সুফিয়ান কবির, আসাদ এ্যাভিনিউ, ঢাকা
শীর্ষ সংবাদ: