ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়ায় রওনা দিয়েছেন ইমরুল কায়েস

ইনজুরিতে বিজয়ের বিশ্বকাপ শেষ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৬ মার্চ ২০১৫

ইনজুরিতে বিজয়ের বিশ্বকাপ শেষ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ অসাধারণ জয় তুলে নিল। কিন্তু এই জয় পাওয়ার মাঝেও কষ্ট থেকেই গেল। বাংলাদেশ দলের ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের যে ইনজুরির জন্য বিশ্বকাপ খেলা শেষ হয়ে গেল। তার পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে গেলেন ইমরুল কায়েস। বৃহস্পতিবার রাতেই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন ইমরুল। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় ইনজুরিতে পড়েন বিজয়। স্কটল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় ৩১তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে ব্যথা পেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে নেলসনের স্থানীয় হাসপাতালে বিজয়কে নেয়া হয়। স্ক্যান করা হয়। স্ক্যানে দুটি চিড় ধরা পড়ে। ডাক্তাররা তাকে ৬ সপ্তাহের বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ইনজুরি মারাত্মক হওয়ায় টিম ম্যানেজমেন্ট এনামুলকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। এনামুলের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ায় ভাগ্য খুলেছে ইমরুল কায়েসের। ইমরুল বর্তমানে খুলনা বিভাগের হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লীগে খেলছেন। আর বৃহস্পতিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে বিমানে চড়েছেন ইমরুল। ইমরুল এ্যাডিলেডে যাবেন। সেখানে ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা রয়েছে। সেই খেলাতেও নিশ্চিতভাবেই ইমরুল খেলবেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন ইমরুল। তার ইনিংসে ভর করেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ইমরুল ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। বিজয় প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে প্রথম ২ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ ম্যাচে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন। তৃতীয় ম্যাচে ইনজুরির কারণে হাসপাতাল থেকে ফিরে ড্রেসিংরুমে বসে সতীর্থদের খেলা দেখেছেন। এখন তাকে দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে। হঠাৎ করেই ইমরুলের কাছে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগটি ধরা দিয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে যাচ্ছেন ইমরুল। স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপের মঞ্চে রং ছড়ানোর। সেই সুযোগটি শুরুতে না এলেও এবার পেয়ে গেলেন ইমরুল। সেই সুযোগ ঠিকমতো ব্যবহারও করতে চান। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ১৮৮ রান করেছিলেন ইমরুল। এবারও এমন সব ইনিংস খেলতে চান, যা দলকে জয় এনে দেবে। দেশ ছাড়ার আগে ইমরুল বলেছেন, ‘আমি যখন প্রথম শুনি বিশ্বাসই হচ্ছিল না। যখন বিজয়ের ব্যথা লেগেছে, তখনই অনেকে আমাকে বলেছে তুই যাচ্ছিস। কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। দুপুরের দিকে ফারুক ভাই (প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ) আমাকে ফোন করে বললেন, ইমরুল তুমি যাচ্ছ। তখনই আমি নিশ্চিত হয়েছি। আমার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আমি যাচ্ছি। আমি তখন থরথর করে কাঁপছিলাম। স্বপ্ন দেখছি নাকি এটা সত্যি। তার পরও কেমন যেন লাগছিল। যেন ঘোরের মধ্যে আছি। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি চমক পেলাম। আবার চিন্তা করলাম এখন বাংলাদেশের খেলা শেষপর্যায়ে, কিভাবে সুযোগ পেলাম। এমন সব প্রশ্ন মাথায় উঁকি দিচ্ছিল। আমি জাতীয় লীগে শেষ কয়েক ম্যাচে রান করছিলাম না। কিন্তু বেশ কষ্ট করছিলাম। আমি যখনই কষ্ট করি তখনই আমি এর একটা ফল পাই। হয়ত এটাই আমার কষ্টের কোনও ফল। তবে বিষয়টি আর আমার হাতে নেই। এনামুল দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাদ পড়ল। তাতে আমি সুযোগ পেয়েছি। আসলে এটা নিয়ে ভাবছি না। আমার চিন্তাটা প্রতিদান দিতে পারব কিনা তা নিয়ে। চেষ্টা করব সুযোগের প্রতিদান দেয়ার।’
×