ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৬ মার্চ ২০১৫

ঝলক

আত্মহত্যা রুখতে এবার উদ্যোগী হলো জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এই লক্ষে সম্প্রতি ফেসবুকে চালু হয়েছে এক নতুন টুল, যা আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে সাহায্য করবে। যদিও টুলটি কেবল আমেরিকাতেই চালু হয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অনেক সময় তাদের সুখ-দুঃখের কথা এই যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়ালে তুলে ধরেন। অনেক সময় ফেসবুকের বন্ধুরা কারও কারও অবসাদগ্রস্ততার কথা বুঝতে পারলেও তাদের কিছু করার থাকে না। এসব দিক মাথায় রেখেই এই নতুন টুল চালু করা হয়েছে। এই টুলের সাহায্যে ফেসবুকের কোন বন্ধু আত্মঘাতী হওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে বলে আপনি বুঝতে পারলেই নির্দিষ্ট একটি বাটনে ক্লিক করতে পারেন। আপনার সেই বন্ধু লগইন করার সঙ্গে সঙ্গেই ফেসবুকের তরফে মেসেজ পাবেন। যাতে কি সমস্যা তা জানতে চাওয়া হবে। এক পর্যায়ে যোগাযোগ করবেন ফেসবুক টিমের নিজস্ব মনোবিদও। এভাবেই কারও আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে সাহায্য করা হবে। একটি ডিমের দাম ৫৮ হাজার টাকা! কাউকে জিজ্ঞাসা করা হলো, বলুন তো একটা ডিমের দাম কত? সে কোন চিন্তা না করেই উত্তর দেবে বড়জোর ১০ থেকে ১৫ টাকা। যদি বলা হয় একটি ডিমের দাম ৫৮ হাজার টাকা তখন চোখ এমনিতেই কপালে উঠবে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, সম্প্রতি এই অঙ্কেই একটি ডিম বিক্রি হয়েছে ই-কমার্স কোম্পানি ইবেতের মাধ্যমে। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাফ অরপিংটন জাতের (কালো-সাদা জাতের) একটি মুরগি ডিম পাড়ে। ডিমটির সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব, এটি দেখতে বলের মতো গোলাকার। ডিমটি দেখে বিস্মিত হন মুরগির মালিক ইংল্যান্ডের এ্যাসেক্সের বাসিন্দা কিম ব্রটন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, ডিমটি রান্না করে খাওয়ার। তবে তার আগে সেটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। এ ছবি দেখে তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে সহকর্মীরা তা করতে বারণ করেন। পরক্ষণেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এ ডিম অনলাইনে নিলামে তোলার। এরপর ডিমটি ৪৮০ ব্রিটিশ পাউন্ডে বিক্রি হয়, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫৮ হাজার টাকা। হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শার্লিন চোপড়া এবার হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন বলিউডের সেক্স সিম্বল শার্লিন চোপড়া। তাঁর একটি উক্তি হইচই ফেলেছে গোটা বলিউডে। এক টুইটার বার্তায় তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, ‘টাকার বিনিময়ে আর কারও সঙ্গে বিছানায় যাব না।’ টুইটারে শার্লিন আরও লিখেছেন, ‘আগে বহুবার শুধু পয়সার জন্যই আমি শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছি। সেসব যৌন অভিজ্ঞতার একটিও মনে পড়ে না, যা আমি স্বেচ্ছায় করেছি! কিন্তু সম্প্রতি লস এ্যাঞ্জেলেস থেকে ফেরার পর উপলদ্ধি করেছি, ক্রমাগত চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে থাকলে আমি (৬ পৃষ্ঠা ২ কঃ দেখুন) হাটে হাঁড়ি (প্রথম পৃষ্ঠার পর) নিজেকে স্বাধীন বলে দাবি করতে পারি না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘নগ্নতায় কোন পাপ তো আমি দেখি না। আমার জীবনে এমন কেউ আসবে, যার মধ্যে গভীরতা থাকবে, সিম্পলিসিটি থাকবে এবং আমাকে পাল্টানোর কোন চেষ্টা করবে না।’ নগ্ন হয়ে পুলিশকে আক্রমণ দুপুরের ব্যস্ত রাস্তা। যানজট কাটাতে ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ। হঠাৎই ছন্দপতন। মদ্যপান করে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে যেতেই বিপত্তি। স্বামীকে বাঁচাতে একেবারে রাস্তাতেই নগ্ন হতে শুরু করে দিলেন তার স্ত্রী। শুধু তাই নয়, নগ্ন হয়েই পুলিশের ওপর চড়াও হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশে। এ ঘটানায় রাস্তায় ভিড় জমে যায়। প্রথমে খানিকটা হকচকিয়ে গেলেও পরে অবশ্য সামলে নেন পুলিশকর্মীরা। ওই দম্পতিসহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অগ্নিঝরা মার্চ বিশেষ প্রতিনিধি ॥ একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের আজ ষষ্ঠ দিন। ‘বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত’-বেপরোয়া বাঙালী তখন স্বাধীনতার স্বপ্নে যেমন উদ্দীপ্ত তেমনি ফুঁসছিল বিদ্রোহ, বিক্ষোভ ও ঘৃণায়। স্বাধীনতা ঠেকাতে রণপ্রস্তুতিতে পাকিস্তানী সামরিক হানাদার। অন্যদিকে যে কোন আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে অটুটবন্ধনে বীর বাঙালী। সভা, মিছিল, কারফিউ ভঙ্গ, গুলিতে বাঙালী হত্যা- সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ সময়, বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতি। উনিশ শ’ একাত্তর সালের ৬ মার্চেও বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছিল হরতাল। সকাল ছ’টা থেকে দুপুর দু’টা পর্যন্ত। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন একাত্তরের এদিন দুপুরে। তার ভাষণের পুরোটা জুড়েই ছিল বীর বাঙালীকে উদ্দেশে করে হুমকি ও ধমকি। ছিল পাকিসামরিক বাহিনী দিয়ে বাঙালীকে শায়েস্তা করার হুমকি। পরদিন ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেবেন বাঙালীর মুক্তির দিশারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষণে তিনি কী বলবেন? বহুল আকাক্সিক্ষত স্বাধীনতার ঘোষণা তাঁর বর্জকণ্ঠে উচ্চারিত হবে কি? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত ছিল না সাড়ে ৭ কোটি বাঙালীর মধ্যে। একাত্তরের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের কর্মসূচী ৭ মার্চ ঘোষণা করা হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের একদিন আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার হুমকি-ধমকি স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে হতাশ, ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত করে তোলে। এমনিতেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে লাগাতার হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলন চলছে। পাকি প্রেসিডেন্টের ভাষণের পর তা নতুন মাত্রা পায়। ঘর থেকে রাজপথে নেমে আসে স্বাধীনতাকামী বিক্ষুব্ধ হাজার হাজার বাঙালী। সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর অধীর অপেক্ষা-দৃষ্টি রেসকোর্সের ময়দানে আয়োজিত জনসভার দিকে। এদিকে অগ্নিগর্ভ মার্চে বাঙালীর প্রবল আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা। কি ভাবে বাঙালীর এই আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করা যায় সে ব্যাপারে নীলনকশা করতে থাকে সামরিক জান্তা ও তাদের এদেশীয় দোসররা। বিশ্বের কাছে স্বাধীনতার জন্য বাঙালীর এই বাঁধভাঙ্গা আন্দোলন-সংগ্রামের খবর যাতে কোনভাবেই যেতে না পারে সেজন্য তৎপর হয়ে উঠে পাকি জেনারেলরা। শুধু সেন্সরশিপ আরোপই নয়, কোনভাবেই যাতে বাঙালীর আন্দোলন-সংগ্রামের খবর না ছাপা হয় সেজন্য প্রতিটি সংবাদপত্রের অফিসে ফোন বা সশরীরে গিয়ে হুমকিধমকিও দেয়া হয়। বাঙালী জাতির এমনই আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছিল প্রাণঘাতী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। প্রশিক্ষিত পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীকে পরাস্ত করে বীর বাঙালী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছিনিয়ে এনেছিল মহামূল্যবান স্বাধীনতা। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কৃতজ্ঞ বাঙালী জাতি তাই নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে স্মরণ করছে দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। বাঙালীর জীবনে এবারের মার্চ মাস এসেছে এক অন্যরকম পরিস্থিতিতে। একাত্তরের মতোই স্বাধীনতাবিরোধীদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে জেগে উঠেছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। শুরু করেছে রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধেও বিজয়ী হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তরুণ প্রজন্ম।
×