ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লবণ পানিতে মানবেতর জীবন

স্লুইসগেট নির্মাণ না করায় ভোলায় কাজে আসছে না বেড়িবাঁধ

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৬ মার্চ ২০১৫

স্লুইসগেট নির্মাণ না করায় ভোলায় কাজে আসছে  না বেড়িবাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ৫ মার্চ ॥ ভোলার মূল ভূণ্ড-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বঙ্গোপসাগর তীরে পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলেও কান কাজই আসছে না। ১১টি পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোসহ স্লুইস গেট (ওয়াটার কন্ট্রোল স্ট্রাকচার) না থাকায় কুকরি মুকরি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে বর্ষায় জলোচ্ছ্বাসে পানিবন্দী আর শীতে লবণ পানিতে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। এতে করে ওই এলাকায় মানুষ এক দিকে যেমন ক্ষেতে ফসল ফলাতে পারছে না। তেমনি লবণ পানির কারণে তারা পুকুরের পানি পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারছে না। জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নবাসীকে অতিজোয়ারের পানি ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয় করে ইউনিয়নের চারপাশে প্রায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার রিংবাঁধ নির্মাণ করে। কিন্তু বাঁধের মধ্যে থাকা খালের মুখে ৬টি স্লুইজ গেট (জলকপাট) নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এতো টাকা ব্যায়ে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও মানুষের দুর্দশা কাটছে না। কুকরির ইউনিয়নের রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদশা মিয়াসহ স্থানীয় কৃষক আবদুল গনিসহ অনেকই বলেন, বর্ষায় একটু জোয়ার এলে ঘরবাড়ি, মাছের পুকুর ও ফসলি ক্ষেত প্লাবিত হতো। আবার ভাটায় নেমে যেতো। কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম মহাজন বলেন, কুকরি-মুকরিবাসীর চলাচলসহ যাবতীয় নিরাপত্তার জন্য বেড়িবাঁধে জরুরী স্লুইজ গেট প্রয়োজন। পাউবো যে উদ্দেশে বাঁধ নির্মাণ করে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কউছার আলম বলেন, কুকরি দ্বীপের মানুষকে রক্ষায় ২টি ফেইজে প্রকল্প করা হয়। প্রথম ফেজে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় ফেইজের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প আকারে পাঠানো হয়েছে। পাস হয়ে এলে বাস্তবায়ন হবে।
×