ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২৫ দলের বিশ্বকাপ চান টেন্ডুলকার

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৫ মার্চ ২০১৫

২৫ দলের বিশ্বকাপ চান টেন্ডুলকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) চায় আগামী ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের, সেখানে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার চান ১০ নয়, ২৫ দলের বিশ্বকাপ হোক! আইসিসির এমন ভাবনায় চরম হতাশাও প্রকাশ করেছেন টেন্ডুলকার। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে চলমান বিশ্বকাপের পরপরই ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনায় বসবে আইসিসি। সেখানেই ১০ দলের বিশ্বকাপ হওয়া নিয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত আসবে। সেই সিদ্ধান্ত যে ১০ দলের বিশ্বকাপ হবে, তা বোঝাই যাচ্ছে। আইসিসি নীতিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছে। তবে সাবেক ক্রিকেটাররা আইসিসির এ সিদ্ধান্তে শুধু হতাশাই প্রকাশ করছেন। যেখানে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেয়ার কথা হচ্ছে, সেখানে বিশ্বকাপে আরও দল কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত কোনভাবেই গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারই যেমন আইসিসির এই ভাবনাকে সমর্থন করছেন না। উল্টো বিশ্বকাপে আরও বেশি দল বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন, ‘আমি শুনেছি আগামী বিশ্বকাপ নাকি দশ দল নিয়ে হবে। এটা খুবই হতাশাজনক কাজ হবে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি খেলাটাকে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার পক্ষে। আমার মতে দশ দল নিয়ে যদি বিশ্বকাপ করা হয়, তবে এটা হবে পেছন দিকে হাঁটার মতো।’ চলতি বিশ্বকাপে আইসিসির দূত হয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন শচীন। সিডনিতে এক বিশেষ ডিনার অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানেই টেন্ডুলকার বলেন, ‘ছোট দলগুলোকে ওপরের দিকে উঠে আসতে উৎসাহ দিতে হবে। বিশ্বকাপ হচ্ছে সবচেয়ে বড় আয়োজন। এখানে সবাইকে খেলতে দেয়া উচিত। আর প্রায় বিশ্বকাপেই তো ছোট দলগুলো বড়দের চমকে দিয়েছে। এটা তারা নিয়মিতই করতে পারবে যদি তাদের প্রতিভা প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম দেয়া হয়।’ আর তাই ২৫ দল নিয়েও বিশ্বকাপ হতে পারে বলে মনে করছেন টেন্ডুলকার। বলেছেন, ‘শুধু ১৪ দল নয়, কীভাবে পরের বিশ্বকাপে ২৫ দল পেতে পারি সেদিকে খেয়াল করা দরকার। বড় ছয়-সাতটা দলই শুধু নয়। ক্রিকেটকে বৈশ্বিক করতে হলে যত বেশি সম্ভব মানুষকে এখানে যুক্ত করতে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমাদের উচিত ছোট্ট দলগুলোকে যত বেশি পারা যায় উৎসাহ দিতে হবে। প্রতি চার বছর পর পর হয় বিশ্বকাপ ক্রিকেট। ক্রিকেটের এমন বড় মঞ্চে ছোট্ট দলগুলোকে বেশি করে সুযোগ দেয়া উচিত। যেন দলগুলো অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে পারে। আইসিসির এ বিষয়টি দেখা উচিত। আমার আশা আইসিসি তা দেখবেও।’ ছোট্ট দলগুলোর পক্ষে কথা বলে এখন টেন্ডুলকার এও বলেছেন, ‘আমি আইসিসির সিদ্ধান্তের দিকে এখন তাকিয়ে আছি।’ ক্যারিবীয় বোর্ড সভাপতি হতে চান লারা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের (ডব্লিউআইসিবি) সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের বিস্তর দূরত্ব। এর প্রভাব পড়ছে ক্রিকেটেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা সেই দূরত্ব দূর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এ জন্য দরকার ডব্লিউআইসিবির সর্বোচ্চ পদটি। যে পদে বসে লারা সব কলহ দূর করতে পারবেন। পারবেন ক্রিকেট উন্নয়নও ঘটাতে। আর তাই লারা চান ডব্লিউআইসিবির সভাপতি হতে। লারা নিজেই বলেছেন, ‘মি. বাসারাথ আমাকে এ উপদেশ দিয়েছে। ডব্লিউআইসিবিতে যুক্ত হতে বলেছেন। বলেছেনও তার বোর্ড আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতাও করবে।’ ত্রিনিদাদ গার্ডিয়ানে লারা আরও জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় আছি আমি। বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ক্রিকেটাররাও এখানেই আছেন। আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা এখন ক্রিকেট বোর্ডে যুক্ত হওয়া।’ নিজের সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান লারা। ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগো ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি বাসারাথ লারাকে ক্রিকেট বোর্ডে যুক্ত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। এমনকি চলমান ডব্লিউআইসিবির সভাপতি হতেও বলেছেন। ক্রিকেটারদের এবং সাপোর্টারদের বিশ্বাস তৈরি করতে হলে এখন লারাকেই দরকার বলেও জানিয়েছেন বাসারাথ। কখনই লারা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রেট ক্রিকেটারদের একজন শুধু ব্যাটিং আর অধিনায়কত্বেই মজে থাকেন। কখনই বোর্ডে যুক্ত হয়ে কিছু করার চেষ্টা করেননি। লারার সময়ে ৪৭ টেস্টে মাত্র ১০টিতে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ১২৫ ওয়ানডের মধ্যে ৫৯টিতে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নেতৃত্বে লারা আশানুরূপ ফল বয়ে আনতে পারেননি। লারা যদি বোর্ডে যুক্ত হন তাহলে সাপোর্টারদের জন্যও অনেক বড় খবর বয়ে আনবে। লারা এ নিয়ে আরও বলেছেন, ‘আমাদের অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছেন।
×