ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আজও হাল্কা বর্ষণ

ফাল্গুন শেষের দিকের বৃষ্টিতে বোরোর উপকার

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৫ মার্চ ২০১৫

ফাল্গুন শেষের দিকের বৃষ্টিতে বোরোর উপকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীসহ দেশের অনেক জেলায় বুধবার হাল্কা বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবেই এ বৃষ্টি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ বৃহস্পতিবারও দেশের অনেক স্থানে হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে কাল শুক্রবার রোদ উঠবে, আকাশ তেমন মেঘলা থাকবে না। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চলতি মাসে বয়ে যাবে দুটি তাপপ্রবাহ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে একটি নিম্নচাপ। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়। আগামী ৫ দিন দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ঢাকায় ৪৯ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৬১ মিমি, সিলেটে ১২০ মিমি, রাজশাহীতে ২৫ মিমি, রংপুরে ১৯ মিমি, খুলনায় ৪৩ মিমি ও বরিশালে ৫৩ মিলিমিটার হতে পারে। সূত্রটি আরও জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আজ মঙ্গলবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, বুধবার সকাল থেকে খেপুপাড়ায় ৪ মিলিমিটার এবং পটুয়াখালী, যশোরে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। এছাড়া ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাইজদীকোর্ট, রাজশাহী, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবারও ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা। স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস থেকে জানান, বুধবার সকালে খুলনাসহ আশপাশের এলাকায় কখনও হাল্কা, কখনও মাঝারি আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খুলনা আবহাওয়া অধিদফতর। কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, এই বৃষ্টি বোরো ধান ও গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষের জন্য খুব উপকারী। আমের মুকুলের জন্যও উপকারে আসবে। বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গর্জনও ছিল। সকাল ৯টার পর বৃষ্টি থেমে গিয়ে ১০টার দিকে আর এক পশলা বৃষ্টি হয়। এর পরে আর বৃষ্টি হয়নি। খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী আনিসুজ্জামান জানান, ফাল্গুনের শেষ দিকের এই বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষের জন্য এ বৃষ্টি উপকারে আসবে। আমের মুকুলের জন্যও উপকার হবে।
×