ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মির্জাপুরে কারখানার বর্জ্যে মরে গেছে পুকুরের মাছ

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৫ মার্চ ২০১৫

মির্জাপুরে কারখানার বর্জ্যে মরে গেছে পুকুরের মাছ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ৪ মার্চ ॥ মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের চারটি শিল্প-কারখানার বর্জ্য ও শুকনো আবর্জনার কারণে দুই মৎস্য খামারের মাছ মরে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আশপাশের পরিবেশ দূষণ ছাড়াও নানা রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় মশার উপদ্রবও বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশ দূষণকারী শিল্প-কারখানাগুলো হলো গোড়াই হাঁটুভাঙ্গা রোডের নাহিদ কটন মিলস, টেক্কা অয়েল মিলস, মাসাফি বিস্কুট এ্যান্ড ব্রেড ও মাসাফি ফ্লাওয়ার মিলস। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলে দেখা গেছে, ওই শিল্প-কারখানাগুলোর দূষিত বর্জ্যে হাঁটুভাঙ্গা রোডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম নামে এক মৎস্য খামারির পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে সব মাছ গত এক সপ্তাহের মধ্যে মরে গেছে। এ ছাড়া মাসাফি ফ্লাওয়ার মিলের গমের পচা ভূষি ও বর্জ্যে তার মৎস্য খামারের হ্যাচারিটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে তার ক্ষতির পরিমাণ ১২ লাখ টাকা বলে মৎস্য খামারি রফিকুল ইসলাম জানান। অপরদিকে ওই এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার সামনের বিশাল পুকুরটিতে চাষ করা মাছ একই কারণে মরে গেছে বলে মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদের ইমাম হাফেজ শাহ আলম জানান। এ ছাড়া দূষিত বর্জ্যে পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ায় মাদ্রাসার ছাত্র এবং আশপাশের লোকজন পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। অপরদিকে কারখানাগুলোর তুলার ডাস্ট ও কারখানারগুলোর যত্রতত্র পানি বর্জ্যরে কারণে দুর্গন্ধসহ মশার উপদ্রবও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেন, আমরা আগে এই পুকুরে গোসল করতাম। এখন পুকুরের পানি পচে কালো হয়ে গেছে। গোসল করলে আমাদের শরীর চুলকায় ও চুলকানি হয়। এ ব্যাপারে মাসাফি ফ্লাওয়ার মিলের ম্যানেজার ননী গোপাল বিশ্বাস বলেন, আমাদের ফ্যাক্টরির বর্জ্য আমাদের সীমানার মধ্যেই ফেলি। পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। নাহিদ কটন মিলের জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কারখানা কোথায় কিভাবে পরিবেশ দূষণ করে তা খোঁজ নিয়ে দেখব। শিক্ষকের উত্ত্যক্তে টাঙ্গাইলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ ছাত্রীর নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৪ মার্চ ॥ ধনবাড়ীতে গাড়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজিজুল হক প্রাইভেট পড়ানোর নামে যৌন হয়রানি করেছেন একই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে। এরপর থেকে ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে হতদরিদ্র অসহায় পিতা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে বুধবার সকালে এলাকাবাসী বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। যৌন হয়রানির শিকার স্কুলছাত্রী তার বাবার উপস্থিতিতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, গাড়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজিজুল হকের কাছে তার বাড়িতে গিয়ে তারা ৫ জন শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে। ঘটনার দিন গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রাইভেট পড়ানোর শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের বিদায় করে দিয়ে তাকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্ক করে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে আটকিয়ে দেন এবং তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেন। ঘটনা শুনে দরিদ্র বাবা বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক আমির হোসেনের কাছে বিচার চান। ওই দিন থেকে মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন জানান, তার কাছে অভিযোগ এলে তা আমলে নিয়ে ভিকটিম ও অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম ঐ ছাত্রী তার গায়ে হাত দিয়ে উত্ত্যক্ত করার কথা তার কাছে বলেছে। অপরদিকে ঐ শিক্ষক মেয়েটিকে শুধু শাসন করার কথা বলেছে।
×