ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নওগাঁয় ২৮ পেট্রোল বোমা উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৫ মার্চ ২০১৫

নওগাঁয় ২৮ পেট্রোল বোমা উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৪ মার্চ ॥ শান্তির জেলাখ্যাত উত্তরের নওগাঁ বড় ধরনের নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেল। বিএনপি-জামায়াত শহরে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা সফল করতে গোপন বৈঠক চালানোর সময়ই পুলিশ সেখানে হানা দেয়। ফলে তাদের নাশকতার পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে ভেস্তে যায়। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ মরছুল্লা বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় ডিস কেবল অপারেটর জাহিদুল আলম জেমির অফিস ঘরে চলছিল নাশকতার গোপন বৈঠক। এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও ঘরের ভাড়াটে ডিস ব্যবসায়ী জাহিদুল আলম জেমি (৩৮) ও তার কর্মচারী নৃপেন চন্দ্র দাসসহ (৩৫) ৬ জনকে আটক করা হয়। ওই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ২৮টি পেট্রোলবোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাকিরুল ইসলাম জানান, নওগাঁ সদর মডেল থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে অভিযান চালায়। আটককৃতদেরসহ উদ্ধারকৃত পেট্রোলবোমাগুলো রাত ১১টার দিকে মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটক ৬ জনকে জিঞ্জাসাবাদের পর জাহিদুল আলম জেমি ও নৃপেন চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার দেখিয়ে অপর চার জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে জেমি ও নৃপেনকে ৭ দিনের করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অপর একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার সূত্রে জানায়, জেমি ছাত্রজীবনে রাজশাহীতে শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিল। নওগাঁতে এসেও সে শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল। পরে ডিস ব্যবসা চালানোর জন্য এলাকার বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম ধলুর হাত ধরে বিএপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে নওগাঁ মডেল থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় নাশকতার প্রস্তুতি সংক্রান্ত একটি মামলা রেকর্ড করেন। এদিকে এ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, কয়েক নামধারী মিডিয়াকর্মী, এমনকি কয়েক আওয়ামী লীগ নামধারী ব্যক্তিদের রাত থেকেই দৌড়ঝাঁপ ছিল লক্ষণীয়। তবে আটক গ্রেফতার করা হলেও পুলিশের কেউ কেউ বিষয়টি নরমাল করার কাজে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও শহরে কথা উঠেছে।
×