ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সৌদিতে ২ বাংলাদেশীসহ চার জনকে হত্যা ॥ দুই পাকিস্তানী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ৪ মার্চ ২০১৫

সৌদিতে ২ বাংলাদেশীসহ চার জনকে হত্যা ॥ দুই পাকিস্তানী  গ্রেফতার

বিডিনিউজ ॥ সৌদি আরবে দুই বাংলাদেশীসহ চারজনকে হত্যায় দুই পাকিস্তানীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির গোয়েন্দা ও তদন্ত দফতরের কর্মকর্তারা। সোমবার সৌদি গেজেটের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-আসাদ জান (২৪) ও আদম খান (২২)। গ্রেফতারের পর তারা দুজনই হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে ওই খবরে বলা হয়েছে। ঘাতকদের একজনের সাবেক প্রেমিকা এক শ্রীলঙ্কানের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য এক ভারতীয়কে ভুলিয়ে ভালিয়ে মরু এলাকায় নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে তারা জানিয়েছেন। হত্যার পর তারা ওই ভারতীয়ের মরদেহ একটি কম্বলে মুড়িয়ে একটি ওয়ারহাউজের পিছনে মাটিতে পুঁতে ফেলেন। নিহত ব্যক্তি যে গাড়িতে এসেছিলেন সেই গাড়িটি নিয়ে তারা অন্য জেলা আল-ফাতাহর একটি বিপণীবিতানের পিছনে রেখে দেন। এই হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর আরেক পাকিস্তানীর গাঁজা কেনার টাকার প্রয়োজন পড়ে। এরপর ত্রিশের কোঠায় বয়সী এক বাংলাদেশী ট্যাক্সিচালককে ভাড়া করে আল-সাহাফা জেলায় নিয়ে যান তারা। সেখানে পৌঁছানোর পর একজন তার গলা টিপে ধরেন এবং অন্যজন পকেট থেকে ছুরি বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। ওই বাংলাদেশীকে হত্যার পর তার কাছে থাকা টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে নেন ঘাতকরা। এরপর আগের হত্যাকাণ্ডের পর নেয়া গাড়ি, যেটা একটি বিপণীবিতানের পিছনে রাখা হয়েছিল তাতে তার মরদেহ রাখেন দুই খুনী। এরপর একইভাবে আরেক ভারতীয়কে হত্যার পর আল-আরিদ জেলায় কাঠের স্তূপের নিচে তার মরদেহ লুকিয়ে রাখেন তারা। এ সময়ও ওই ভারতীয়ের গাড়ি নিয়ে তাতে অন্য একটি লাইসেন্স প্লেট লাগান দুই ঘাতক। একইভাবে চতুর্থ ব্যক্তিকে হত্যা করেন তারা। এবার তাদের শিকার হন চল্লিশের কাকাকাছি বয়সী এক বাংলাদেশী ট্যাক্সিচালক। তার মরদেহ আল-আরিদ জেলায় মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। গোয়েন্দা ও তদন্ত দফতরের কর্মকর্তারা সবগুলো লাশ ও গাড়ি উদ্ধার করেছেন। এ সব ঘটনার আগেও গাঁজার টাকা সংগ্রহে একটি গাড়ি চুরি করে তার ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা বিক্রির কথা দুই পাকিস্তানী স্বীকার করেছেন বলে সৌদি গেজেটের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। আল-ফাতাহ জেলায় ওই বিপণীবিতানের পিছনে একটি গাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসার পর সেখানে মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ গাড়ি থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে, যার পেট ও হাতে পাঁচটি কোপের চিহ্ন ছিল। গাড়িটি চুরি হওয়ার বিষয়টি বোঝার পর মামলাটি গোয়েন্দা ও তদন্ত দফতরে পাঠায় পুলিশ।
×