ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হরতাল-অবরোধের প্রভাব

গাইবান্ধার হোসিয়ারি শিল্পে বিপর্যয়

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৪ মার্চ ২০১৫

গাইবান্ধার হোসিয়ারি শিল্পে বিপর্যয়

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৩ মার্চ ॥ লাগাতার অবরোধ-হরতালের কারণে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহরের হোসিয়ারি শিল্পে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শীতবস্ত্র বিক্রি এদের মূল বেচাকেনার মৌসুম হলেও এ বছর প্রচুর শীতবস্ত্র অবিক্রীত থাকায় ওই এলাকার প্রায় ৫০টি গ্রামের ২ হাজার ক্ষুদ্র হোসিয়ারি শিল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসান দিতে হয়েছে। উল্লেখ্য, এখানকার বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদিত শীতবস্ত্র শীত মৌসুমে শুধু দেশের চাহিদা মেটায় না বরং তা বিদেশেও রফতানি হয়। কিন্তু অবরোধের কারণে বাইরের গ্রাহক আসতে না পারায় বা দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় এবারে শীতবস্ত্রে ব্যবসায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। ব্যবসায়ীদের মতে বিভিন্ন কারখানায় ১শ’ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শীতবস্ত্র গুদামজাত হয়ে পড়ে রয়েছে। অধিকাংশ কারখানা মালিক অর্থ সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ফলে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত লক্ষাধিক দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক এখন বেকার হয়ে পড়েছে। হোসিয়ারি শিল্প কারখানা ভিত্তিক সংগঠন ‘নয়াবন্দর কুটির শিল্প এ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, কোচাশহর ইউনিয়নের নয়ারহাট হোসিয়ারি শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের সবচেয়ে বড় ব্যবসা কেন্দ্র। এখানে প্রায় আড়াই শ’ শীতবস্ত্রের দোকান রয়েছে। প্রত্যেক দোকান মালিকের রয়েছে নিজস্ব কারখানা। এসব দোকানে এখন লাখ লাখ টাকার মালামাল আটকা পড়ায় পুঁজি সঙ্কটে পড়েছে কারখানা মালিকরা। জানা গেছে, কোচাশহর ইউনিয়নের বনগ্রাম পেপুলিয়া, মুকুদপুর, ধারাইকান্দি, রতনপুর, ছয়ঘড়িয়া, জগদীশপুর, শক্তিপুর, কোচাশহর ও নয়ারহাটসহ অর্ধ শতাধিক গ্রামে ২ হাজারের বেশি হোসিয়ারী কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় সোয়েটার, কার্ডিগান, ব্লাউজ, মাফলার, মোজা, ছোটদের পোশাকসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র তৈরি হয়। পশমী সুতায় তৈরি এসব শীতবস্ত্র ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের সর্বত্র সরবরাহ করা হয়।
×