ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাকিব আল হাসান

‘দুই ম্যাচ জিততে চাই’

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৪ মার্চ ২০১৫

‘দুই ম্যাচ জিততে চাই’

পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখনও গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বাকি আছে তিনটি ম্যাচ। দুটি জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ। যদি তিন ম্যাচের মধ্যে শুধু ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জিতে বাংলাদেশ, তাহলেও নক আউট পর্বে খেলা নিশ্চিত হবে। কিন্তু বাংলাদেশ অলরাউন্ডার, সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুটি ম্যাচ জেতার দিকেই নজর দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে, এরপর ৯ মার্চ ইংল্যান্ড ও ১৩ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। কোন বিশেষ অঙ্কেই পড়তে রাজি নন সাকিব। দুই ম্যাচ জিতেই কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে চান। মঙ্গলবার যেমন নেলসনে অনুশীলন শেষে বলেছেন, ‘দুই ম্যাচ জিততে প্রস্তুত হচ্ছি আমরা।’ কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনার অঙ্ক সামনে তুলে ধরতেই সাকিব বলেছেন, ‘স্বাভাবিক হিসাব হচ্ছে দুইটা ম্যাচ জিতলে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে যাব। তাহলে আর কোন অঙ্কই দরকার হবে না। তিনটার মধ্যে দুইটা জিততে হবে, সেভাবেই আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।’ এ জন্য স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়াকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন সাকিব। কারণ, সাকিবই জানিয়েছেন, ‘এই ম্যাচটা (স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে) যদি জিতি, আমাদের একটা প্লাস পয়েন্ট হবে, মোমেন্টাম থাকবে। প্লাস যারা ভাল করবে তাদের কনফিডেন্স থাকবে। সেদিক থেকে এ ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ ম্যাচটি জিততে আবার পেসারদের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন সাকিব। বাংলাদেশ দলের শক্তি স্পিন হলেও অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে স্পিনারদের আহামরি কোন নৈপুণ্য নেই। তাই সাকিব বলেছেন, ‘এখানে স্পিনারদের জন্য কিছু আছে কিনা একটা প্রশ্ন আছে অবশ্য। যদি স্পিনারদের জন্য হেল্পফুল হয়, তাহলে আমাদের যে স্পিনাররা আছে; তারা কাজে লাগাতে পারবে। কিন্তু আমরা যে দুইটা ম্যাচ খেলেছি, সেখানে স্পিনারদের জন্য খুব বেশি সহযোগিতা ছিল না। এ কারণে দায়িত্বটা মনে হয় ফাস্ট বোলারদেরই বেশি।’ স্কটল্যান্ডকে একেবারে দুর্বল দল ভাবাও ভুল হবে। দলটি বিশ্বকাপে এবার তিনটি ম্যাচ খেলেছে। সবটিতে হারলেও নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই খেলা হয়েছে। কন্ডিশন, উইকেট সম্পর্কে দলটির ভালই জানা আছে। সেই তুলনায় স্কটল্যান্ড সম্পর্কে কতটুকু জানা আছে বাংলাদেশের? সাকিবের সামনে জানা-অজানার বিষয়টি তুলতেই বললেন, ‘এখন বিশ্ব ক্রিকেটে সবাই সবারটা জানে। যেহেতু এত খেলা হয়। এত খেলা মানুষ দেখে টিভিতে। সবাই সবারটা এনালাইসিস করে। সবাই সবারটা কম-বেশি জানে। প্ল্যানিংই যদি সব হতো, তাহলে তো সবাই মাঠে না খেলে প্ল্যানিংই করত। তাই মাঠের খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ সেই মাঠের খেলায় সাকিব-মুশফিক ভালই খেলছেন। কিন্তু টপঅর্ডারেই যত গোলমাল বেধে যাচ্ছে। তাহলে কী সাকিব উপরে খেলতে পছন্দ করবেন। সেই বিষয়টি কোচ-অধিনায়কের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন সাকিব। বলেছেন, ‘এটা আসলে কোচ আর ক্যাপ্টেনের বিষয়। তারা টিমের জন্য যেটা ভাল মনে করবে, সেটাই করবে। মনে হয় না আমাদের কেউই সেটাতে দ্বিমত করবে।’ সব ঠিক থাকলেও বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং নিয়েই এখন সবাই ভাবনায় পড়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে যাচ্ছে তাই ফিল্ডিং হয়েছে। খেসারতও দিতে হবে বড়ই। কিন্তু সাকিব যেন একটু অন্যরকমভাবেই বিষয়টি দেখছেন। বলেছেন, ‘কোন ম্যাচে খারাপ ফিল্ডিং হয়, কোন ম্যাচে ভাল ফিল্ডিং হয়। এটা আসলে ‘পার্ট অব ক্রিকেট।’ কিন্তু সবসময়ই ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছে সবাই।’ উন্নতি এখন হলেই হয়। সামনে যে তিনটি ম্যাচ রয়েছে, কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে প্রতিটিই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যদি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জেতে, তাহলে কথাই নেই। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ। তা না হলে বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে জিততে হবে দুটি ম্যাচ। সাকিব সেই দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।
×