ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম, অর্থ লোপাট

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৩ মার্চ ২০১৫

কলাপাড়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম, অর্থ লোপাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২ মার্চ ॥ ৪০ দিনের এ প্রকল্পটিতে ১১২ শ্রমিকের কাজ করার কথা। সেখানে গিয়ে পাওয়া গেছে মাত্র ছয় জন। বৃহস্পতিবারের দৃশ্য ছিল এটি। ১১২ শ্রমিক প্রতিদিন ২০০ টাকার শ্রমের মধ্য দিয়ে মিশ্রিপাড়ার এ খালটি পুনর্খনন করবে। প্রকল্পে এ জন্য ৪০ দিনে ব্যয় দেখানো রয়েছে আট লাখ ৯৬ হাজার টাকা। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য ছিল খালটির দুই পাড়ের মাটি আগে ইটভাঁটির মালিকরা কেটে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে গেছেন। তারপরে কিছু লেবার দুই পাড় লেভেল করেছেন। স্লোপ ঠিক করেছেন। এ সব করতে যতটুকু মাটি পাওয়া গেছে তা দুই পাড়ে মজুদ করা হয়েছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী এভাবে শেষ হয়েছে। একই দশা বাকি সব প্রকল্পের। কলাপাড়ায় ৪০ দিনের কর্মসূচীর অধিকাংশ প্রকল্পের একই হাল। অর্ধেক টাকাও ব্যয় হয়নি। নেয়া হচ্ছে ভাগাভাগি করে। একই দশা ধানখালী, বালিয়াতলী, নীলগঞ্জ ও লালুয়ার। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলায় মোট ৯১২ জন শ্রমিক দৈনিক ২০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে ৪০ দিনের কাজ করার কথা। ওই হিসেবে এ জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। সাধারণ মানুষের মন্তব্য পাঁচশ’ লেবার কাজ করলেও হতো। তাও হয়নি। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে অফিস থেকে জানানো হয়েছে, লতাচাপলীর প্রকল্পের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। আর ট্রাকের মাটি কাটার ঘটনায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে বন্ধ করে দিয়েছে। এখন প্রকল্প এলাকার বাইরে থেকে মাটি কাটছে। তিনি দাবি করেন কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। যথাযথভাবে কাজ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ গত সপ্তাহেই শেষ হয়েছে। পার্বতীপুর পৌর মেয়রের দুর্নীতি তদন্তে দুদক নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২ মার্চ ॥ পার্বতীপুর পৌরসভার মেয়রের দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের তদন্ত অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তদন্তের বিষয়বস্ত হলো পৌরবিধি ও টেন্ডার ম্যানুয়াল উপেক্ষা করে কাজ করা, পৌর অর্থ অপচয় করে অপ্রয়োজনীয় সাইডওয়াল নির্মাণ করে অর্থ অপচয়, টেন্ডারবাজি ও একই রাস্তা দুবার টেন্ডার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত ইত্যাদি। দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক সমর কুমার ঝাঁ তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে বিষয়গুলো তদন্ত করছেন। ডাঃ এস এইচ সাজ্জাদ, মুক্তিযোদ্ধা আবু এহিয়া, লাকী বোডিংয়ের প্রোপাইটার আকতার হোসেন সোমবার দুদুকের জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে মেয়রের অনিয়ম, দুর্নীতির ডকুমেন্টারি তথ্য দিয়ে অবহিত করেছেন। পৌর মেয়র এ জে এম মেনহাজুল হক জানান, তিনি দিনাজপুর দুদকের সহকারী পরিচালক সমর কুমার ঝাঁ স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়েছেন।
×