ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অভিষেকের অপেক্ষায় ফকনার

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩ মার্চ ২০১৫

অভিষেকের অপেক্ষায় ফকনার

জিএম মোস্তফা ॥ গত মাসে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর সেই ম্যাচেই চোট পেয়েছিলেন জেমস ফকনার। সেই চোট-দুর্ভাগ্যের কারণেই বিশ্বকাপের অভিষেকটা বিলম্ব হয় তাঁর। তবে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে ফকনারের। বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেই খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন এই অসি অলরাউন্ডার। এ বিষয়ে সোমবার অনুশীলনে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকেই বল করছি আমি। আজও সঠিকভাবে সব কিছু করার চেষ্টা করেছি। আশা করি বেশ ভালভাবেই নিজেকে উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছি। সবকিছু ঠিকঠাক হলে বুধবারেই মাঠে নামতে পারি।’ অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটার বল করেন বা হাতে। তবে ব্যাটিং করেন ডান হাতে। আর এ জন্য নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন জেমস ফকনার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বোলার হিসেবে বা হাতি আর ব্যাটসম্যান হিসেবে ডান হাতি হওয়ার কারণে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি।’ যদিওবা বুধবার পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই খেলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তারপরও যে দিনশেষে নির্বাচকরাই সকল সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাও বেশ ভাল জানা আছে তার। এ বিষয়ে ফকনারের অভিমত হলো, ‘আমি এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছি না যে কী হয়। প্রকৃতপক্ষে এর সবকিছুই নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপর। নিজেকে ফিট হিসেবে তৈরি করার সকল দায়িত্ব আমার কাছে। কিন্তু দিনশেষে বাকি সকল সিদ্ধান্তই নির্বাচকদের। তাই এ ব্যাপারে আমার চিন্তারও কোন কারণ নেই।’ এদিকে কপাল পুড়েছে প্যাট কামিন্সেরও। শনিবার মর্যাদার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১ উইকেটে পরাজয় মানে অস্ট্রেলিয়া। যা অসিদের কাছে অনেকটা হতাশারও বটে। আর সে হতাশায় নতুন করে যোগ হয় প্যাট কামিন্সের নাম। কিউদের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পাওয়ার কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না এই পেসার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বল করতে গিয়ে সিøপ খেয়ে পড়ে যান তিনি। তখন আঘাত গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তা বড় আকার ধারণ করে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬.১ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়েছিলেন তিনি। বিনিময়ে প্রতিপক্ষের ২ উইকেট দখলও করেচিলেন কামিন্স। এর আগেও বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডার্সের হয়ে খেলার সময়ও কামিন্স এই রকম সিøপ খেয়ে ইনজুরিতে ভুগেছিলেন। এবারের বিশ্বকাপে পেসাররা রাজত্ব করবে তা আগে থেকেই অনুমিত ছিল। আর এখন পর্যন্ত সেটাই হচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে শনিবার জ্বলে উঠেছিলেন মিচেল স্টার্কও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর কাজে লাগেনি। কেননা নিউজিল্যান্ডের কাছে ১ উইকেটে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে জয়ে ফিরতে মরিয়া অসিরা। দলের সেরা বোলারও মিচেল স্টার্কও তাকিয়ে আছেন পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের দিকে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দল হিসেবে আফগানিস্তান খুবই দুর্বল প্রতিপক্ষ। সবাই সাধারণত যা বলেন, মিচেল স্টার্কও হাঁটলেন ঠিক সে পথে, ‘বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে কোন দলকেই হাল্কাভাবে নিতে নেই। উপেক্ষা করতে নেই প্রতিপক্ষকে। আমিও আফগানদের উপেক্ষা করছি না। আগের ম্যাচের মতো আবার নিজের সেরাটা দিতে চাই। উইকেট পেতে হবে, জিততে হবে। এটাই আমাদের মূল কথা।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে ম্যাচটাকে জমিয়ে তুলেছিলেন এই স্টার্কই। কিন্তু আরেকটি উইকেট নিতে পারলেই ফলাফল বদলে যেত। কিন্তু তা না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্টার্ক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শেষ দিকে ওই উইকেটটা ফেলার জন্য বল করার আগে জনসনের পরামর্শও নিয়েছিলাম। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।’
×