ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুর বদর বাহিনী কমান্ডারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৩ মার্চ ২০১৫

জামালপুর বদর বাহিনী কমান্ডারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট

বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামালপুর জেলার বদর বাহিনীর কমান্ডারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ৩০ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আসামিগণ হলেন, আলবদর কমান্ডার আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহাম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আব্দুল বারী, হারুন, মোঃ আবুল হাশেম, এ্যাডভোকেট মোঃ শামসুল হক ও এসএম ইউসুফ আলী। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর জামালপুর পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন -এসএম ইউসুফ আলী ও এ্যাডভোকেট মোঃ শামসুল হক। সোমবার প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল এই ৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারের আবেদন জানান। শুনানি শেষে চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই পরোয়ানা জারি করে। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। প্রসিকিউশনপক্ষ শুনানিতে বলেন, এই ৮ আসামি তৎকালীন জামালপুর মহকুমায় ১০ হাজার লোক হত্যা, ৭৫ হাজার গৃহ ধ্বংস, ১২ কোটি টাকা ক্ষতি সাধন করেছে। তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান এ মামলার তদন্ত করছেন। তিনি ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। তদন্ত সংস্থা ৩০ জনেরও অধিক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে স্থানীয়ভাবে এবং জাতীয়ভাবে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এই মুহূর্তে মামলার অভিযুক্ত প্রতিপক্ষগণ মুক্ত থাকলে তারা সাক্ষীদের সাক্ষ্যদানে বাধা প্রদান করবে, দালিলিক সাক্ষ্যসমূহ বিনষ্ট করবে, আলামতসমূহ ধ্বংস করবে, মামলার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে, সুদীর্ঘকাল বিচারের অপেক্ষায় থাকা বিচারপ্রার্থীরা বিচার থেকে বঞ্চিত হবে, যে কোন সময় দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান আইনত ও ন্যায়ত আবশ্যক।
×