ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেসি, সুয়ারেজ চমকে বার্সিলোনার জয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২ মার্চ ২০১৫

মেসি, সুয়ারেজ চমকে বার্সিলোনার জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মালাগার কাছে ঘরের মাঠ ন্যুক্যাম্পে ১-০ গোলে হেরেছিল বার্সিলোনা। অপ্রত্যাশিত ওই হারের ধকল কাটিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে কাতালানরা। শনিবার স্প্যানিশ লা লিগার এ্যাওয়ে ম্যাচে বার্সা ৩-১ গোলে পরাজিত করে স্বাগতিক গ্রানাডাকে। বিজয়ী দলের হয়ে গোল করেন ইভান রাকিটিচ, লুইস সুয়ারেজ ও লিওনেল মেসি। আরেক ম্যাচে লেভান্তেকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রায়ো ভায়োকানো। পিছিয়ে পড়েও ভায়োকানোর এই জয়ের নায়ক ফরোয়ার্ড আলবার্টো বুয়েনো। মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়ে তিনি দলের হয়ে একাই চার গোল করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। ম্যাচের ২৩, ৩২, ৩৩ ও ৩৮ মিনিটে গোল চারটি করেন তিনি। ম্যাচ শেষে এই ফুটবলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সতীর্থ, প্রতিপক্ষসহ সবাই। জয়ে ফিরে পয়েন্ট তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে বার্সিলোনা। ২৫ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে লুইস এনরিকের দল। রবিবার রাতের ম্যাচের আগে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে ম্যাচটি রিয়াল জিতে থাকলে আবারও বার্সার চেয়ে চার পয়েন্ট এগিয়ে যাবে গ্যালাক্টিকোরা। লা লিগায় গত সেপ্টেম্বরে ন্যুক্যাম্পে গ্রানাডার জালে ৬ গোল দিয়েছিল বার্সিলোনা। এবার অবশ্য গোলের বন্যা বইয়ে দিতে পারেনি কাতালানরা। তবে জয় এসেছে সহজেই। শুরু থেকেই স্বাগতিক গ্রানাডার উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে অতিথি বার্সা। শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করার পর ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় এনরিকের দল। জর্ডি এ্যালবার বাড়িয়ে দেয়া বলে সুয়ারেজ শট নেন। কিন্তু গোলরক্ষক জুয়ান টোরেস রুইস বলটি পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ইভান রাকিটিচ। ফিরতি শটে গোল করেন তিনি। ৩৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় বার্সলোনা। রাকিটিচের লম্বা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেসি ডানপায়ে জোরালো শট নিলেও তা পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিট সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। ডি বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শট নেন জাভি মার্কেস। কিন্তু বল ডানপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। বিরতির পর ৪৮ মিনিটে সুয়ারেজের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সলোনা। ডানপ্রান্ত দিয়ে রাকিটিচের বাড়ানো বল গ্রানাডার গোলরক্ষক দ্রুত এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করার আগেই আলত টোকায় জালে জড়িয়ে দেন সুয়ারেজ। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে গ্রানাডাকে ম্যাচে ফেরান রিকো ক্যাস্ট্রো। বিপদসীমানার মধ্যে বল দখলের লড়াইয়ে স্বাগতিক দলের লাস বাঙ্গৌরাকে ফাউল করেন বার্সা ডিফেন্ডার মার্ক বাট্টা। ব্যবধান ২-১ হলেও ৭০ মিনিটে মেসি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোলে অবদান রাখেন সুয়ারেজ। রাকিটিচের লম্বা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকে কাটান উরুগুয়ে তারকা। এরপর নিজে শট না নিয়ে ফাঁকায় দাঁড়ানা মেসিকে পাস দেন তিনি। তা থেকে গোল করতে কোন সমস্যা হয়নি চারবারের ফিফা সেরা ফুটবলারের। ন্যুক্যাম্পে আসার পর কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না সুয়ারেজ। অবশেষে জড়তা কাটিয়ে স্বরূপে ফিরেছেন উরুগুইয়ান তারকা। যে কারণে ভাসছেন প্রশংসার স্রোতেও। পরশুর ম্যাচ শেষেও সবার অভিনন্দন পেয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত এই তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে জোড়া গোল করার পর লা লিগায়ও গোল করেছেন সুয়ারেজ। পাশাপাশি গোলে অবদানও রেখেছেন। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ লুইস এনরিকে বলেন, খেলতে শুরু করার পর থেকেই সে (সুয়ারেজ) শীর্ষ মানে আছে। এখন গোলগুলো এবং তার কাজে ভক্তরা তাকে আরও পছন্দ করবে। তবে আমাদের কাছে সে সবসময়ই বিশেষ ও প্রয়োজনীয় কাজ করে আসছে। তিনি আরও বলেন, খেলোয়াড়রা যা করেছে, তাতে আমি খুব খুশি ও সন্তুষ্ট।
×