ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে সমুদ্র সম্পদ বিল পাস

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২ মার্চ ২০১৫

সংসদে সমুদ্র সম্পদ বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশের বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন-২০১৫’ রবিবার পাস হয়েছে। বিলের মাধ্যমে প্রণীত আইনটি কার্যকর হলে ‘বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। যে প্রতিষ্ঠানটি সমুদ্রবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ, গবেষণালব্ধ ফলাফলের প্রয়োগ এবং সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ করবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। কয়েকজন বিরোধীদলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এর আগে গত বছরের ৩০ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি অনুমোদন দেয়া হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার স্বার্থে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এই ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা কাঠামো নির্ধারণ এবং সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করতে একটি আইনী কাঠামো প্রয়োজন। সেজন্য এই বিলটি আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের বিধান অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি করে ১৮ সদস্যের এই ইনস্টিটিউটের পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হবে। সরকার এ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ করবে। যিনি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। আর ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ ও সহায়তা দিবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
×