ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় একুশের বইমেলার সমাপনী

প্রকাশিত: ০৭:২২, ১ মার্চ ২০১৫

বগুড়ায় একুশের বইমেলার সমাপনী

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া ॥ ঢাকার মতো অনেক বড় হয়নি, তবে বইপ্রেমী মানুষের হৃদয় মন্দিরের সোপানে অনেক বড়ই আয়োজন ছিল বগুড়ায় এবারের বইমেলা। শহীদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছেই একাংশ পুষ্প বিকিকিনি বাজারের ধারে আরেক অংশ নবাববাড়ি সড়কের ধারে ৪০টি স্টল নিয়েই ৮ দিনের বইমেলার শেষ দিন গতকাল শনিবার ছিল হাজারও মানুষের ঢল। ফাল্গুনের মধ্যভাগের প্রকৃতি যেন মানব হৃদয়ে বসন্তের সুর বইয়ে দেয়। কবি সাহিত্যিক পাঠক দর্শনার্থীদের মিলন মেলায় সমুদ্রের প্রাণের ঢেউ যেন আছড়ে পড়েছিল স্মৃতির মণিকোঠায়। হৃদয় থেকে হৃদয়ে। বইমেলায় এটা কি কম পাওয়া। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মেলায় বাঙালীর শিকড়ের লোকজ সংস্কৃতির মলাটেই পরিবেশিত হয় নান্দনিক নাট্যদল, গীতিচর্চা সঙ্গীতালয়, কলেজ থিয়েটার অনুশীলন বিহঙ্গ আবৃত্তি পরিষদ কণ্ঠ সাধনের নানা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অন্তত ৫০টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল কবিতা ও কাব্যগ্রন্থের আকর্ষণীয় প্যাকেজটি। যেখানে জয়ন্ত দেব, এইচ আলীম, মাহাবুব টুটুল, শুভ ইসলাম ও সঞ্জয় চক্রবর্তীর কাব্য ও কবিতার সমাহার গড়ে তোলা হয়। এমন প্যাকেজটি উন্মোচন করেন বরেণ্য সাহিত্যিক বজলুল করিম বাহার। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আগামীর অপার সম্ভাবনার নতুন ধারার লেখিকা হোসনে আরা মনি। এছাড়াও সাংবাদিক জে এম রউফের দৌড় কাহিনী, শিবলী মোকতাদিরের রৌদ্রবঞ্চিত লোক, সাহিত্য ভাবনার ছোট কাগজ অপরাজিত, নঈম হাসানের লাল সবুজের ক্যানভাস, মাহমুদ হোসেন পিন্টুর অক্ষরের ফেরিওয়ালাসহ নবীন ও তরুণ কবি সাহিত্যিকের প্রকাশনায় ভরে ওঠে। নিত্যদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বইমেলার আড্ডার রেশ মধ্য ফাগুনের মধ্যরাতে হালকা কুয়াশার ছন্দেই মিলেয়ে যায় পরের বছরে আরেক ফাল্গুনের আমন্ত্রণ জানিয়ে।
×